1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
ব্রাহ্মণপাড়ায় সৌর সেচ পাম্প বাঁচিয়ে দিচ্ছে কৃষকদের খরচ - Dainik Cumilla
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তাকওয়া বিহীন সমাজ হচ্ছে ক্রাইমের সমাজ -এটিএম মাছুম স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা পরীক্ষা হয়ে যাক: হাসনাত আবদুল্লাহ ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত এডভোকেট মো. আরিফুর রহমান শ্রাবণ কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেলেন ব্রাহ্মণপাড়া কৃতি সন্তান এডভোকেট নূরুল হুদা কুসিক কাজ না করেই ঠিকাদারের বিল উত্তোলন, দুদকের অভিযান নাঙ্গলকোটে শিবিরের পক্ষ থেকে ছাত্রদের মাঝে অর্থসহ কুরআন উপহার কুমিল্লায় দশ বছর ধরে আওয়ামী প্রভাবে বহাল তবিয়েতে গবেষণা কর্মকর্তা ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত জরুরি সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়া প্রয়োজন- সৈয়দ তাহের

ব্রাহ্মণপাড়ায় সৌর সেচ পাম্প বাঁচিয়ে দিচ্ছে কৃষকদের খরচ

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪
  • ১২৭ বার পঠিত

মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সৌর বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্পের মাধ্যমে ফসলি জমিতে পানি দিতে পেরে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এই সেচ পাম্পের সাহায্যে ডিজেল ও বিদ্যুৎচালিত পাম্পের চেয়ে অর্ধেক মূল্যের কম খরচে জমিতে পানি দিতে পারছেন তাঁরা। এতে সেচ খরচে অর্ধেকেরও বেশি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে তাঁদের।

সোমবার ( ১৩ মে ) বিকেলে উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের চন্ডিপুর এলাকার সেচ পাম্প প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) স ম আজহারুল ইসলাম। এ সময় বিএডিসি’র সহকারী প্রকৌশলী মো. নাঈম সৌরভ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, এই উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের ( বিএডিসি ) আওতায় দুটি সেচ পাম্প রয়েছে। উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নে ও মাধবপুর ইউনিয়নে এ দুটি পাম্প রয়েছে। এই পাম্প দুটোর আওতায় ৪০ একর ফসলি জমি রয়েছে। এই পাম্প সূর্য ওঠার পর থেকে চালু হয়ে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত চলে। তবে আকাশা মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ও ঝড়বৃষ্টি হলে বা প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগের কারণে সূর্যের মুখ দেখা না গেলে পাম্পের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের জিরুইন এলাকার কৃষক বাছির উদ্দিন, আহমদ উল্লাহ ও সিরাজুল ইসলাম জানান, বোরো আবাদে বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত পাম্পে তাঁদের ব্লকে ৪৫ টাকা হারে প্রতি শতাংশ জমিতে সেচের পানি পেয়েছেন। তবে যদি সৌর পাম্পে পানি পেতেন তাঁদের বোরো আবাদে খরচ অনেক কম হতো। তাঁদের ফসলি মাঠ সৌর সেচের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তাঁরা।

উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের চন্ডিপুর এলাকার কৃষক শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘সৌর পাম্পের মাধ্যমে পাওয়া পানিতে বোরো মৌসুমে আমি ৬৩ শতক জমি আবাদ করেছি। বিদ্যুৎ ও ডিজেল দিয়ে চলা পাম্পের খরচের তুলনায় সৌর পাম্পে খরচ কম হয়েছে। এতে আমি বোরো আবাদে সেচের খরচের দিক থেকে লাভবান হয়েছি।’

বিএডিসি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নাঈম সৌরভ বলেন, ‘কৃষিতে সেচ খরচ কমিয়ে আনতে ও সহজেই সেচ সুবিধা পাওয়ার লক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), সেচ বিভাগ নানা রকম কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তার-ই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে, ষাইটশালা মৌজায় ০১ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সোলার এলএলপি সেচ পাম্প এবং মালাপাড়া ইউনিয়নের চন্ডিপুর মৌজায় ০.৫ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন একটি এলএলপি সোলার সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি ০১ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার সেচ পাম্প পরিচালনার জন্য ব্যাবহার করা হয়েছে ৩০ টি ৫৪০ ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার প্যানেল যা পাম্প মোটর পরিচালনার জন্য মোট ১৬.২ কিলোওয়াট ক্ষমতা সরবরাহ করে থাকে। ‘
তিনি আরও বলেন, ‘সোলার পাম্প স্থাপন ও ভূগর্ভস্থ সেচ নালা নির্মানের ফলে একদিকে যেমন কৃষকের সেচ খরচ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে অপরদিকে কৃষকের জমি অপচয় রোধ হয়েছে। প্রতিটি ০১ কিউসেক সোলার এলএলপি সেচ যন্ত্রের এর মাধ্যমে ৪০ একর জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘সৌর সেচ পাম্প একটি কৃষক সাশ্রয়ী প্রকল্প। বিদ্যুৎ, ডিজেল ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির দাম এবং প্রাপ্যতার প্রভাব থেকে কৃষিকে মুক্ত করতে সৌর সেচ পাম্প ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। এটি কৃষক সাশ্রয়ীর পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধবও। এর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ হবে। সৌর সেচ পাম্প স্থাপনে প্রাথমিক খরচ একটু বেশি হলেও সৌর পাম্প থেকে স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি সুফল কৃষকেরা পেতে পারেন।’

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সৌর সেচ পাম্প একটি কৃষকবান্ধব প্রকল্প। এতে কৃষকের ফসল আবাদে খরচ কম হয়। পরিবেশের দূষণও হয় না। উপজেলার মালাপাড়া এবং মাধবপুরে এ ধরণের দুটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। উপযুক্ত স্থান ও সম্ভাবনা খুঁজে পাওয়া সাপেক্ষে এ ধরণের আরো কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে।’

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD