সাকলাইন যোবায়ের।।
কুমিল্লা হাইওয়ে হাইওয়ে পুলিশের কর্তৃক দুইজন ভূয়া র্যাবকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৫ জুন) রাত পৌনে ৯ টায় কুমিল্লা রিজিয়নের ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি পুলিশ পরিদর্শক মো. ওবায়দুল হকের নেতৃত্বে জেলার চান্দিনা থানাধীন ছয়ঘড়িয়া নামক স্থান থেকে তিশা প্লাস থেকে তাদের আটক করা হয়। হাইওয়ে
পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান,ঢাকাগামী তিশা প্লাস বাস নং ঢাকা মেট্রো ব-১২-১৮২৪ কাগজপত্র যাচাইয়ের সময় বাসের যাত্রী নাটোরের ডাকমন্ডপ বাজার
আল আমিনের ১) মোঃ আল শাহারিয়ার (৩০)এর আচরণ সন্দেহজনক হলে তার সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ব্যাগের ভিতর ১ র্যাব লেখা দুটি জ্যাকেট ,দুটি একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ওয়াকিটকি,একটি খেলনা পিস্তল, ও পিস্তল কভার এবং একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তাকে হাইওয়ে পুলিশ আটক করে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানা যায়, শাহরিয়ারসহ আরো ৪ জন সংঘবদ্ধভাবে প্রাইভেটকারে বিভিন্ন স্থানে র্যাব পরিচয় দিয়ে করে প্রতারণা ও ডাকাতি করে থাকে। অন্য ৪ জন প্রাইভেটকার নং ঢাকা মেট্রো গ-২০-৬৯১৮ যোগে নিমসারবাজার হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় তাৎক্ষনিক হাইওয়ে পুলিশ চান্দিনা থানাধীন ছয়ঘড়িয়া নামক স্থানে ঢাকাগামী লেনে চেকপোষ্ট স্থাপন করে উক্ত প্রাইভেটকারটি চেকপোষ্টে পৌছলে থামার সংকেত দিলে তা অমান্য করিয়া দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করলে প্রাইভেটকারটিকে পিছু পিছু ধাওয়া করে এক পর্যায়ে চান্দিনা থানাধীন মহারং গ্রামের ভিতর পালানোর চেষ্টাকালে প্রাইভেটকারসহ অপর ৩ জনকে আটক করে। তারা হলেন যশোরের মোঃ মনির (৪৭)। আসামীরা জিজ্ঞাসাবদে জানায় যে, তারা সংঘবদ্ধভাবে বিভিন্ন স্থানে র্যাব পরিচয় প্রদান করে প্রতারণা ও ডাকাতি করে থাকে। পলাতক ৩ জন আসামীর নাম ফরিপুরের মানিক (৩৫) , নোয়াখালীর মোস্তফা (৪০), এবং তাদের ড্রাইভার ইউনুছে (৫০) ‘র বাড়ী বরিশাল বলে জানা যায়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।