নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি:
নাঙ্গলকোটে রেলওয়ের নির্মাণাধীন একটি সেতুর সাব ঠিকাদার একরামুল হকের সাথে মৌকরা ইউনিয়ন যুবদল সাবেক সভাপতি আবদুর রহিমের চাঁদার বিষয়ে টেলিফোন কথোপোকথনের একটি অডিও-ভিডিও গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। টেলিফোন কোথপোকথনের অডিও- ভিডিও এর রেকর্ড করায় মৌকরা ইউনিয়নের গোমকোট বাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী জসিমকে যুবদল নেতা আবদুর রহিমের নেতৃত্বে রড ও লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মরধরের ঘটনা ঘটে।
পরে আহত জসিমকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জসিম উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়ন আইনজিয়াপাড়া তেতৈয়া গ্রামের মৃত শহীদ উল্ল্যার ছেলে। আবদুর রহিম একই ইউনিয়নের মোড্ডা গ্রামের এয়াকুব আলী ছেলে। জসিম উদ্দিনকে মারধরের ঘটনায় জসিম বাদি হয়ে বুধবার রাতে আবদুর রহিমসহ ৫/৬জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রহিমকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক গণেশ চন্দ্র শীল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ের সাব ঠিকাদারের সাথে আবদুর রহিমের চাঁদার বিষয়ে অডিও কথপোকথনের ঘটনায় বুধবার রাতে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগে রহিমকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ যুবদলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মোঃ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়। পরে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদল আহবায়ক মোঃ আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
জানা যায়, জসিম গোমকোট বাজারে ফার্নিচার ব্যবসা করেন। গত ৫/৬বছর থেকে সে গোমকোট গ্রামে বাড়িঘর করে বসবাস করেন। এব্যাপারে জসিম উদ্দিন তাকে মারধরের ঘটনা রহিমসহ ৫/৬জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে রহিমকে গ্রেপ্তার করেন।