চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের খাবারের হোটেল থেকে গাঁজা ও ইয়াবাসহ বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মাদক সহ আটককৃত চারজনকে ৩ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার দিবাগত রাত ৯টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামাল হোসেনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মাদকবিরোধী এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে অংশ নেয়া দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তার চারটি বাইক ও ভাড়া করা একটি ট্রাক নিয়ে মোট পাঁচটি দলে বিভক্ত হয়ে মাদকদ্রব্যের ক্রেতা সেজে শনিবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অংশের বিভিন্ন হোটেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামাল হোসেনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। গঠিত দলগুলোর সদস্যরা কয়েকটি হোটেল থেকে প্রথমে কিছু টাকার মাদকদ্রব্য ক্রয় করেন। পরে অভিযান চালিয়ে ৯১ পুরিয়া গাঁজা এবং ৩৮ পিস ইয়াবা ও মাদক সেবনের সরঞ্জামসহ চারজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কাছে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য হস্তান্তর করেন। পরে তিনি সেগুলো সেনাবাহিনী সদস্যদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করার নির্দেশ দেন।
এ সময় কয়েকটি হোটেলের মালিক ও ম্যানেজার পালিয়ে গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর ও শিশুদের ব্যবহার করার কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা কঠিন। পরে মহাসড়কের বাবুচি বাজারের জমজম হোটেল থেকে আটক করা চার আসামিকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১০০ টাকা করে অর্থদন্ডসহ উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হয়। অভিযানকালে কর্মকর্তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এগুলো মনে হয় খাবারের নয় বরং গাঁজা ও ইয়াবার হোটেল।
রোববার দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। সর্বস্তরের জনগণের সম্মিলিত প্রতিরোধই পারবে পুরো সমাজকে এই মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিতে। মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’