1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
আওয়ামী লীগ ভিসি আবদুল মঈনের অনিয়ম-দূর্নীতির সুফলভোগী ছিলেন যারা - Dainik Cumilla
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক কুমিল্লা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)’র ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর উপর হামলা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নাঙ্গলকোটে ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতা শ্রীঘরে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না -বরকত উল্লাহ বুলু কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নামাজ পড়তে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরল কিশোর

আওয়ামী লীগ ভিসি আবদুল মঈনের অনিয়ম-দূর্নীতির সুফলভোগী ছিলেন যারা

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩১৬ বার পঠিত

 

কুবি প্রতিনিধি

ভিসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে গত আড়াই বছরে নিয়োগ বাণিজ্য, দূর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষকদের একটি পক্ষকে অবাধ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ব্যাক্তিগত বলয় তৈরি করেছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে অমান্য করে গত বছর আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির মেম্বার হন তিনি।
এছাড়াও গত বছর ‘দূর্নীতি হচ্ছে বলে দেশে উন্নতি হচ্ছে’ বক্তব্য দিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েন এই ভিসি। সবশেষ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ১৯ আগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নতুন প্রশাসন নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে ভিসি আবদুল মঈনের অনিয়ম-দূর্নীতির সুফলভোগীদের আলোচনা নতুনভাবে সামনে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসির বলয়ে থেকে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন সাবেক প্রক্টর ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক কাজী ওমর সিদ্দিকী। ভূমি বাণিজ্য, ছাত্র রাজনীতিতে অছাত্র-বহিরাগতদের দিয়ে হস্তক্ষেপ ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ, সিনিয়র শিক্ষককে লাঞ্চনা ও মারধর এবং অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পিএইচডি গ্রহণসহ নানা অপকর্মে জড়িয়েছেন তিনি। তবে আবদুল মঈনের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় এসব ঘটনার কোনো বিচার বা তদন্ত হয়নি।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি আবদুল মঈন ভিসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে কাজী ওমর সিদ্দিকী নতুন ভিসিকে নিজের সরাসরি শিক্ষক বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচার করে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকদের মধ্য থেকে প্রক্টর নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। তবে সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৭২ জন সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০ জন অধ্যাপক থাকলেও সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকীকে প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেন ভিসি মঈন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার চলমান মেগা প্রকল্পে শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং স্থানীয়দের বিরুদ্ধে ভূমি বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও হয়। এর মূলহোতা ছিলেন তৎকালীন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকী। ভিসি মঈনের নিয়োগ পাওয়ার আগে থেকেই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওপেন সিক্রেট ছিল। তারপরেও তিনি তাকে বিভিন্ন অবৈধ সুবিধা দিয়ে আসছিলেন।

সাবেক শিক্ষার্থী, অছাত্র ও হত্যা মামলার আসামীদের নিয়ে ক্যম্পাসে বলয় তৈরি করেন কাজী ওমর সিদ্দিকী। তার মদদে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এ বলয়ের নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে কয়েক দফায় তার অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। তবে এর বিপরীতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এছাড়াও নারী সহকর্মীকে লাঞ্চনা ও সিনিয়র সহকর্মীকে মারধর করেন সাবেক এ প্রক্টর। গত ২৭ এপ্রিল একজন নারী শিক্ষকের সাথে উচ্চবাচ্য এবং পরদিন শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ মোকাদ্দেস-উল-ইসলামকে ঘুষি মারেন তিনি। এ ঘটনারও কোনো প্রতিকার করেনি প্রশাসন।

মূলত বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও জবাবদিহিতার অভাবে ভিসি মঈনের সময়ে এ আলোচিত শিক্ষক ক্যাম্পাসের ‘মনস্টার’ হয়ে উঠেছিলেন। যদিও কেউ কেউ মনে করছেন, ভিসি হিসেবে নিয়োগের সময় আবদুল মঈনের সাথে কাজী ওমর সিদ্দিকীর সাথে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক কাজী কামাল উদ্দিন বলেন, ভূমি বাণিজ্যের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। বড় ধরনের আর্থিক লেনদেন না হলে বিতর্কিত একজন লোককে আব্দুল মঈন কেন এত বেশি এক্সেস দিয়েছেন? সর্বশেষ তিনি একজন সহকর্মীকে মারধর করেন এরপরও বিচারের আওতায় আনা হয়নি। এবিষয়ে সাবেক প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমি যেহেতু বর্তমানে প্রশাসনিক কোনো দায়িত্বে নেই। তাই এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছিনা।

ভিসি মঈনের আরেক সুফলভোগী লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক রশিদুল ইসলাম শেখ। ইউজিসির নিয়ম অমান্য করে তাকে আইকিএউসির পরিচালক বানান ভিসি মঈন। এরপর থেকেই প্রশাসনকে খুশি করতে বিভিন্ন অপর্কমে জড়িয়ে পড়েন। সিনিয়র শিক্ষককে মারতে তেড়ে যাওয়া এবং বহিরাগতদের নিয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলায় অংশ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আইকিউএসির সাবেক পরিচালক একাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব বলেন, ইউজিসির নিয়ম আছে আইকিউএসির পরিচালক হতে হলে তাকে অবশ্যই অতিরিক্ত পরিচালক হতে হবে। অতিরিক্ত পরিচালকদের মধ্যে থেকে তিন বছরের জন্য আইকিউএসির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া লাগে। কিন্তু সে নিয়ম তখন মানা হয়নি।

একইভাবে ইউজিসির নিয়ম লংঙ্ঘন করে আইকিউএসির সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পান ইংরেজি বিভাগের তৎকালীন সহকারী অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস। তিনিও মঈনের আস্থাভাজন হিসেবে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়েছিলেন। ২০২২ সালে এ অধ্যাপক নিজের পদোন্নতি সংক্রান্ত সভায় নিজেই সভাপতিত্ব করে বিতর্কের জন্ম দেন। নিয়ম অনুযায়ী, কমিটির কোনো সদস্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আলোচনা থাকলে তার বিষয়টা আলোচনার সময় তাকে সভা থেকে সরে যেতে হয়। তবে তিনি তা করেননি। একই বছর শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করায় তার বিরুদ্ধে ভিসি বরাবর চিঠি দিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিং, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, শিক্ষার্থী দিয়ে বাজার করানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে। তবে এর কোনটির বিচার হয়নি।

ভিসি মঈনের সময় নিয়মানুযায়ী ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার কথা থাকলেও ড. এমএম শরিফুল করিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। বরং বনানী বিশ্বাসের চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হলেও বাড়তি মেয়াদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএম শরীফুল করীম বলেন, আইনের ব্যতয় ঘটানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরনের সংকট তৈরী হয়েছে। এসব কারণে শিক্ষকরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছিলো। যার ফলে সেশনজটে পড়ে গেছে শিক্ষার্থীরা।

ভিসি মঈনের আস্থাভাজন হওয়ায় নিয়মবহির্ভূতভাবে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহার। বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি সুপারিশ না করা এবং সহযোগী অধ্যাপক পদে স্থায়ী না হয়েই তিনি এ পদোন্নতি পান। অভিযোগ রয়েছে তার স্বামী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হওয়ায় নিয়মিত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের লোগো সম্বলিত গাড়ি নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতেন এবং অনৈতিক সুবিধা নিতেন। বিভাগীয় প্রধান হওয়া সত্ত্বেও সপ্তাহে দুইদিনের বেশি উপস্থিত থাকেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।

আরেক আস্থাভাজন মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদ। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ফলাফল ন্যূনতম ৩ দশমিক ৭০ হতে হবে। তবে আবু ওবায়দা রাহিদকে মার্কেটিং বিভাগে নিয়োগ দিতে অভিনব উপায়ে অননুমোদিত একটি বিধি যোগ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন তৎকালীন ভিসি আবদুল মঈন। রাহিদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ফলাফল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫৬ ও ৩ দশমিক ৫৪। ওই বিধিটি রাহিদের যোগ্যতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এরপরও নিয়োগ বিধিমালার শর্ত পূরণ না করায় বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি রাহিদকে বাদ দিয়ে আবেদনকৃত বাকি ২২ জনের তালিকা রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠায়। কিন্তু ভিসির নির্দেশে রেজিস্ট্রার আইন লঙ্ঘন করে বিভাগীয় পরিকল্পনা কমিটির সুপারিশ করা তালিকায় নিজ থেকে রাহিদসহ দু’জনের নাম যুক্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে চিঠি ও আইনি নোটিশ দেয়া হলেও তা আমলে নেননি ভিসি। এমনকি রাহিদের লিখিত পরীক্ষার খাতায় বিশেষ সনাক্তকরণ চিহ্নও পাওয়া গিয়েছিল। ভাইবা বোর্ডেও এক শিক্ষক তার বিষয়ে আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) জানান। শেষ পর্যন্ত তাকেই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন ভিসি আবদুল মঈন। সিন্ডিকেট সভায় সে নিয়োগের বিষয়ে কথা উঠলেও আপত্তির বিষয়ে কিছু জানাননি ভিসি আবদুল মঈন। নিয়োগের পরেই রাহিদকে সহকারী প্রক্টরের পদ দেয়া হয়। এ পদ ব্যবহার করে তিনি সাবেক শিক্ষার্থীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেন বলে অভিযোগ আছে। এমনকি আরেক সহকারী প্রক্টরের সঙ্গেও তিনি দুর্ব্যবহার করেছিলেন। আবু ওবায়দা রাহিদ নিয়োগেও আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে ক্যাম্পাসে গুঞ্জন রয়েছে।

আবদুল মঈন প্রশাসনের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ড. মোহা. হাবিবুর রহমান। এ পদের প্রভাব খাটিয়ে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের গবেষণার ৭০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ পদে কার্যকরী কোনো উদ্যোগ না থাকলেও তোষামদির কারণে দ্বিতীয় মেয়াদে আবার নিয়োগ পান তিনি।

ভিসির আরেক আস্থাভাজন ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম। গত ৩০ জানুয়ারি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের প্লানিং কমিটির সভায় তৎকালীন বিতর্কিত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দীকির এক আত্মীয়কে সুপারিশ করা নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসানকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘কুত্তা’ বলে পোস্ট দেন তিনি। পোস্টের বিষয়টি তিনি কমিটির সভায় স্বীকারও করেন। এর আগে ক্রীড়া কমিটির এক সভায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এছাড়াও মতের অমিল হলেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেন তিনি। এসব নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠলেও তার কোনোটিই আমলে নেননি সাবেক ভিসি আবদুল মঈন।

এসব বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের একজন গণিত বিভাগের ড. আবদুল হাকিম। তিনি বলেন, অতীতে যারা অনিয়ম দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে এগুলো সমাধান করা জরুরি।

নতুন প্রশাসন সব কাজ আইনানুযায়ী করতে বদ্ধ পরিকর বলে জানান প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল। তিনি বলেন, আমরা সব কিছু আইনের মধ্যে নিয়ে আসতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনো পদ্ধতিগত অনেক অনিয়ম আছে। আমরা এগুলো গুছিয়ে আনার চেষ্টা করছি। কিছুটা সময় হয়তো লাগবে। তবে সবকিছু আইন অনুযায়ীই হবে।

সার্বিক বিষয়ে বর্তমান ভিসি অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, যদি কেউ স্পেসিফিক অনিয়ম করে থাকে, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD