1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
কুবির সাবেক ভিসিসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি অভিযুক্তদের - Dainik Cumilla
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক কুমিল্লা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)’র ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর উপর হামলা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নাঙ্গলকোটে ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতা শ্রীঘরে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না -বরকত উল্লাহ বুলু কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নামাজ পড়তে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরল কিশোর

কুবির সাবেক ভিসিসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি অভিযুক্তদের

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬১৮ বার পঠিত

 

মানছুর আলম অন্তর, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনকে প্রধান আসামি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ কেও আসামি করা হয়েছে।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, এই মামলায় তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় সমন্বয়ক পরিচয়ে মো. শাখাওয়াত হোসেন নামের একজন সাবেক শিক্ষার্থী এই মামলা দায়ের করেন। তবে তিনি মামলার এজাহারে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সমন্বয়ক প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন এ নামের কোনো সমন্বয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।

এদিকে এই মামলায় সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত ও আবু উবাইদা রাহিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক রশিদুল ইসলাম শেখকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ৩৫ জন ও অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক থেকে বের হয়ে একটু সামনে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ পার হলেই একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আব্দুল মঈন, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত ও আবু উবাইদা রাহিদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক রাশিদুল ইসলাম শেখের নির্দেশে এজাহারনামীয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষার্থীদের ওপর এ ন্যাক্কারজনক হামলা চালান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মামলার বাদী হওয়ার বিষয়ে আমার কোনো ইন্টারেস্ট ছিলনা। দুইদিন পর আমার বিসিএস রিটেন পরীক্ষা।

সমন্বয়ক না হয়েও কেন সমন্বয়ক পরিচয় দিয়েছেন তা জানতে চাইলে, তিনি প্রতিবেদকের প্রশ্ন এরিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমি সাবেক শিক্ষার্থী হওয়ায় ঘটনাস্থলে যাইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছিলাম।

এইদিকে ১১ জুলাই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এবং পুলিশ কর্তৃক মারধরের শিকার দৈনিক নয়াদিগন্তের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মানছুর আলম অন্তর ও দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিনিধি অনন মজুমদার জানান, ১১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এটিএম বুথের সামনে কোনো বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটেনি। বরং দুপুর আড়াইটার পর মহাসড়ক অবরোধ করার জন্য শিক্ষার্থীরা যাত্রা শুরু করলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের আন্সারক্যাম্প মোড়ে বাধা প্রদান করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়।

মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সাবেক প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমি মামলার বিষয়ে জানতে পেরেছি, এটা আমরা আইনগত ভাবে মোকাবেলা করবো।

মামলার আরেক অভিযুক্ত সাবেক সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন, এটি সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা মামলা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই মামলায় আমাকে জড়ানো হয়েছে। যা একজন শিক্ষক হিসেবে আমার জন্য বিব্রতকর।

তিনি আরও বলেন, ১১ জুলাই দায়িত্বের কারণেই মূলত আমার ঘটনাস্থলে থাকা। সেখানে উপস্থিত কেউই বলতে পারবেনা মামলায় উল্লেখকৃত কোন অপরাধের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিলো। এটা নিতান্তই আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।

এছাড়াও এই মামলায় অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ গত ১১ জুলাই বাংলাদেশেই ছিলেন না বলে জানা গেছে। এমনকি মামলার বিবাদী করা অনেক শিক্ষার্থীও ঘটনাস্থলে ছিলেননা বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। তাদের একজন হলেন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্ত। তিনি গত দুই বছর আগেই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

এই মামলার বিষয়ে ওইদিন ঘটনাস্থলে সাদাপোশাকে উপস্থিত পুলিশ সদস্য বলেন, এই মামলা কিভাবে দিয়েছে বুঝতে পারছিনা। ভিসি স্যারকে দেখলাম প্রধান আসামি করা হয়েছে! এই মামলার তো কোনো মেরিটই নেই।

এবিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস. এম. আরিফুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এধরনের মামলা দেখে আমি নিজেই বিব্রত। কিন্তু বর্তমানে আমরা নিরুপায়। আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। এমন কিছু ঘটতে দেখিনি। এভাবে চলতে থাকলে যে কেউ, যাকে ইচ্ছে তাকে ফাসিয়ে দিতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।তাই এই মামলার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, যদি তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা না পান, তাহলে সবাইকে অব্যাহতি দেয়া হবে।

ভুয়া সমন্বয়কের বিষয়ে সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, সাখাওয়াত হোসেন নামে কোনো সমন্বয়ক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। তবে আন্দোলনে ছিলেন এই নামের একজন।

আরেক সমন্বয়ক এমরান হোসেন তার ফেসবুক স্টাটাসে এই মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সাখাওয়াত হোসেন নামের কোনো সমন্বয়ক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে মামলার অধিকার কারো নেই। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD