ব্রাহ্মণপাড়াপ্রতিনিধি:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় উপজেলা প্রশাসনের পৃথক দুটি অভিযানে দুই মাদকসেবীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং অপরজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন—শশীদল ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের তৌহিদ মিয়ার ছেলে মনির হোসেন মুন্না (৩২) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মঈনপুর গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন (৪০)।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাগড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন মুন্নাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ভারতীয় দুই বোতল স্ক্যাফ সিরাপ ও তিনটি লাল রঙের ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত মাদকদ্রব্যসহ তাকে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে একই ইউনিয়নের আশাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিল্লাল হোসেনকে আটক করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে মাদক সেবন করে মাতলামি ও এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছিলেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরবর্তীতে অভিযুক্ত বিল্লাল নিজ দোষ স্বীকার করলে তাকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এই দুটি পৃথক অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা জাহান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ ফারহানা পৃথা। অভিযানে ব্রাহ্মণপাড়া থানার এসআই আব্দুস সবুরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ও শশীদল বিওপির বিজিবি সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ ফারহানা পৃথা বলেন, ুমাদকসেবীরা শুধু নিজেদেরই নয়, পুরো সমাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। আমরা কোনো ধরনের সহনশীলতা দেখাব না।”
এ বিষয়ে ইউএনও মাহমুদা জাহান বলেন, ুমাদকাসক্তি একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি, যা পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। মাদকের কারণে সন্তানের হাতে নির্যাতিত হন পিতা-মাতা ও পরিবারের সদস্যরা। আমরা এই সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।