1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
ধর্মীয় উৎসব ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত কিন্তু "সার্বজনীন" বলা অন্যায়! - Dainik Cumilla
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় অজ্ঞাত কাভার্ড ভ্যান চাপায় এক যুবকের মৃত্যু দেবীদ্বারে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কুমিল্লায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে বৃদ্ধাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ নাঙ্গলকোটে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া’র উপর হামলার প্রতিবাদে যুবদলের বিক্ষোভ লাকসামে কৃষককে কুপিয়ে জেলহাজতে প্রবাসী রফিক নাঙ্গলকোটে চরের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল হচ্ছে…বিএনপি আহ্বায়ক চৌদ্দগ্রামে মুন্সীরহাটের ৩নং ওয়ার্ডে জামায়াতের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত বুড়িচংয়ে ৪২ বছর ইমামতির পর ইমামকে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা বুড়িচংয়ে বিষ প্রয়োগ ও এসিড ঢেলে শিশু হত্যার ঘটনায় দুই আসামি গ্রেপ্তার

ধর্মীয় উৎসব ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত কিন্তু “সার্বজনীন” বলা অন্যায়!

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১২৫ বার পঠিত

 

গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির।।

অস্থিরতা মানেই ভারসাম্যহীনতা। আমাদের মাঝে অধিকাংশ মানুষ একটু অস্থির প্রকৃতির। তারা সবক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারে না। অবশ্য এর বড় কারন হলো পরিবেশ ও প্রকৃতি। পরিবেশ ও প্রকৃতিতে ক্রমাগত দূষণের ফলে যে বৈরিতা ও অস্থিরতা তৈরি হয় তা- ই এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের উপর প্রকট ভাবে প্রভাব ফেলে। তাই এই অঞ্চলের মানুষ কাজের চেয়ে কথা বেশি বলে, সমালোচনা বেশি করে। কাজ করতে গেলে আলোচনা- অনুশীলনে পারঙ্গম হতে গেলে স্থিরতা লাগে, দৃঢ়তা লাগে। আর বেশি কথা বলতে গেলে, সমালোচনা করতে গেলে লাগে অস্থিরতা। একজন মানুষের ভেতরে যখন অস্থিরতা থাকে তখন সে একটি কথার স্থলে দশটি কথা বলে, জ্ঞানালোচনা করতে গিয়ে সমালোচনা করে ফেলে । কেননা অস্থিরতা তো স্থির থাকতে পারে না, যে কোন ওজর- অজুহাত ও উছিলায় বাইরে বেরিয়ে আসে ঢের ঢের কথার মাধ্যমে। কিংবা তা প্রকাশ পায় অন্য কোন আচরণে । যেমন মুসলমানরা রাত জেগে মন্দির পাহারা দিলেও হুজুগে একটি শ্রেণি আইন নিজ হাতে তুলে মাজার ভাঙতে যায় এবং অনেক মাজার ভেংগে ফেলে, এখনো বিভিন্ন জায়গায় ভাঙার খবর শুনা যায়। যা আদৌ ঠিক হচ্ছে না, ইসলাম তা সমর্থন করে না। এগুলো মানুষের ভারসাম্যহীনতার ফল। এগুলো মানুষের জন্য দূষণ। এ দূষণ রোধ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতির বাস্তবায়ন। কেননা ভারসাম্যপূর্ণ জীবন গঠনের জোর তাগিদ দিয়েছে ইসলাম।

সার্বজনীন উৎসব বলে মন্দির পাহারা দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে কেউ কেউ ওই উৎসবে অংশগ্রহণের ভাগীদার। এমনটাই আমরা দেখলাম দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরই উৎসবে, তা অন্য ধর্মাবলী তথা ইসলাম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সবারই উৎসব। যাই হোক, এমন কথা বলা বা চিন্তা করা ইসলাম ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই মারাত্মক একটি ব্যাপার। কেননা যেকোনো ধর্মের উৎসব হলো সেই ধর্মের ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। যেমন মুসলমানদের দুটি ঈদের উৎসব রয়েছে। যা মুসলমানদের জন্য উৎসব এবং বিশেষ ইবাদত। সুতরাং কোন ধর্মের উৎসব যে সেই ধর্মাবলম্বীদের ইবাদত এতটুকু ধর্মীয় জ্ঞান থাকা ফরজ।
এখন দুর্গাপূজা যদি বাংলাদেশের “সর্বজনীন” উৎসব হয় তাহলে ধরে নিতে হবে তা মুসলমানদেরও উৎসব । আর কোন ধর্মের উৎসবে অংশগ্রহণ করা মানে সেই ধর্মের ইবাদতে অংশগ্রহণ করা। কোন মুসলমান যদি হিন্দু বা অন্য কোন ধর্মের ইবাদতে অংশগ্রহণ করে তাহলে কি ইসলামী রীতিনীতি অনুযায়ী সেই আদৌ মুসলমান থাকবে? নাকি ইসলাম ধর্ম থেকে বের হয়ে যাবে? ইসলামী রীতি নীতি বলে সে আর মুসলমান থাকবে না। সে যদি পুনরায় মুসলমান হতে চায় তাহলে তাকে কালেমা পড়ে নতুন করে মুসলমান হতে হবে।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। একটি দেশের একাধিক ধর্মের মানুষের মধ্যে পরস্পর সম্প্রীতি বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকা আবশ্যক। এতে ভারসাম্য ঠিক থাকে। দেশের উন্নয়নে কাজে লাগে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানে তো এই নয় যে. এক ধর্মাবলম্বী অন্য ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান ও ইবাদতে অংশগ্রহণ করবে। তাহলে মারাত্মকভাবে ভারসাম্য নষ্ট হবে। একজন মুসলমান এক আল্লাহতে বিশ্বাসী। এখন সে যদি সর্বজনীন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় দুর্গাপূজার উৎসবে অংশগ্রহণ করে তাহলে এক্ষেত্রে দুটি মারাত্মক ক্ষতি হবে। এক. সে বিশ্বাসে একেশ্বরবাদী হয়ে একের অধিক ঈশ্বরে বিশ্বাসীদের উৎসবকে কলঙ্কিত করবে। কেননা এটা তাদের উৎসবকে ঠাট্টা-মশকরা করার নামান্তর। যেমন কোনো অমুসলিম যদি ঈদের উৎসবে অংশগ্রহণ করে, ঈদের নামাজ আদায় করে , তাহলে এটা ইসলাম ধর্মের সঙ্গে মশকরা করা হবে। দুই, যেকোনো ধর্মীয় উৎসব যেহেতু সেই ধর্মাবলম্বীদের ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত, তাই সে ওই ইবাদতে অংশগ্রহণের কারণে নিজ ধর্ম থেকে বের হয়ে যাবে।

প্রতিটি ধর্মের নিজস্ব কিছু রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান ও ইবাদত রয়েছে। যা একেক ধর্মে একেক রকমভাবে পালন করা হয়ে থাকে। এই রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান ও ইবাদতের ভিন্নতার কারণেই এক ধর্ম থেকে আরেক ধর্ম আলাদা। এই যে ধর্মে ধর্মে স্বাতন্ত্র্য রীতিনীতি ও আচার-অনুষ্ঠান এবং প্রত্যেকেই স্ব স্ব ধর্ম স্বতন্ত্রভাবে পালন করে- এটাই ভারসাম্য, স্থিরতা ও দৃঢ়তা, এটাই সৌন্দর্য। এর বাইরে গিয়ে অন্য ধর্মের উৎসবে তথা ইবাদতে অংশগ্রহণ হলো চরম স্খলন ও ভারসাম্যহীনতা। এই স্খলন ও ভারসাম্যহীনতা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলতে আমরা কী বুঝি? একাধিক ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পরস্পর যে প্রীতির বন্ধন তৈরি হয় তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
এই প্রীতি রক্ষার জন্যই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা মন্দির পাহারা দিয়েছে। তারা পূজার মণ্ডপ পাহারা দিতেও প্রস্তুত । এখনো যদি কোনো কুচক্রী মহল পূজার মণ্ডপে আক্রমণের পাঁয়তারা করে তাহলে দেশের প্রশাসন চাইলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাত জেগে পূজার মণ্ডপ পাহারা দিতে প্রস্তুত আছে। তার মানে এই নয় যে, তাদের আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসবে অংশগ্রহণ করতে হবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD