মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ঋণের চাপ সইতে না পেরে কীটনাশক (বি.ষ) খেয়ে কুহিনূর বেগম (৩৮) নামের এক গৃহবধূ আ.ত্মহ.ত্যা করেছে। গতকাল (৫ ডিসেম্বর) সকালে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এর পূর্বে সে গত সোমবার সন্ধ্যায় তার নিজ বসতবাড়িতে জমিতে দেওয়ার কীটনাশক পান করে আ.ত্মহ.ত্যার চেষ্টা করে। নিহত কুহিনূর বেগম উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ তেতাভূমি (বাঁশতলী পুকুরপাড়) গ্রামের নজরুল ইসলাম নজুর স্ত্রী।
নিহতের ছেলে রিয়াজ হোসেন জানান, আমার আব্বা ব্যবসার প্রয়োজনে আমার মায়ের মাধ্যমে বিভিন্ন এনজিও থেকে কিস্তিতে ও লোকজনের কাছ থেকে ধার করে টাকা নেন। এসব টাকা আমার আব্বা যথা সময়ে পরিশোধ না কারায় পাওনাদাররা বিভিন্ন সময় টাকা পরিশোধের জন্য আমার আম্মাকে চাপ প্রয়োগ করেন। এনজিও ও পাওনাদারদের চাপ সইতে না পেরে গত সোমবার বিকেলে জমিতে দেওয়ার কীটনাশক খেয়ে আ.ত্মহ.ত্যার চেষ্টা করেন।
তখন আম্মাকে আমরা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তারপরদিন গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আম্মা মারা যায়। সেখান থেকে আমরা আম্মাকে দুপুরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ও থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণপাড়া থানার কর্তব্যরত উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সৌরভ হোসেন কুহিনূর বেগমের বাড়ি থেকে তাঁর মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে থানায় নিয়ে যায়।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আতিক উল্লাহ বলেন, কুহিনূর বেগমের লা.শটি তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে এটা আত্মহত্যা। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে রিপা আক্তার থানায় অপমৃ.ত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃ.ত্যুর কারণ জানা যাবে।