মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।
মোটরসাইকেল আরোহীর ক্ষেত্রে হেলমেট ব্যবহারের আইন থাকলেও অন্যান্য যানচলাচলে নেই যাত্রীদের ক্ষেত্রে এমন নিয়ম। কুমিল্লা-মিরপুর সড়কের চলাচলরত বেপরোয়া সিএনজি দুর্ঘনায় দুই দুইবার আহত হয়ে সিএনজি চলাচলেও হেলমেট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ‘পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ‘এর সত্ত্বাধিকারী মোঃ শাহীন।
জানা গেছে, মোঃ শাহীন গত একবছর আগে কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণপাড়া আসার পথে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বুড়িচংয়ের একটি পেট্রোল পাম্পের কাছাকাছি এসে সিএনজি চালকের বেপরোয়াভাবে সিএনজি চালানোর কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।সেখানে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সেই দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও তার বুকের পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে যায়, মুখের চোয়াল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত কয়েকমাস আগে কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণপাড়া ফেরার পথে পার্শ্ববর্তী বুড়িচং উপজেলার পূর্ণমতী এলাকায় সিএনজি চালকের বেপরোয়া স্বভাবের কারণে আবারও দুর্ঘটনার মুখোমুখি হোন তিনি। এই দুর্ঘটনায় বুকে আঘাতের পাশাপাশি মুখেও আঘাত পান তিনি। এতে তার দুটো দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং নাকের হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই দুই দুইবারের দুর্ঘনার পরিপ্রেক্ষিতে সিএনজি চলাচলে হেলমেট ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তিনি মনে করেন সিএনজি চালকের বেপরোয়াভাবে সিএনজি চালানোর কারণে প্রায়ই সড়কে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। তিনি সিএনজিতে চলাচলকারী সকল যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানান, সবাই যেন সিএনজি চলাচলে তার মতো হেলমেট ব্যবহার করা শুরু করে। এতে করে দুর্ঘটনায় পড়লেও অনেকটাই সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে এই হেলমেট।
এ ব্যপারে মো. শাহীন বলেন, দিন দিনই রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে কুমিল্লা-মিরপুর সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। আমি নিজেও এ সড়কে পর পর দুইবার দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। এতে আমি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তারপর থেকে সিদ্ধান্ত নিই সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচলে হেলমেট ব্যবহারের। আমার বাসা কুমিল্লা শহরে। ব্যবসায়িক কাজে আমাকে প্রতিদিনই সকালে ব্রাহ্মণপাড়া আসতে হয়। আবার রাতে বাসায় ফিরি। এখন প্রতিদিন যাতায়াতের সময় আমি নিজের সুরক্ষায় হেলমেট ব্যবহার করছি। আমি মনে করি আমার মতো সবাই এভাবে হেলমেট ব্যবহার করলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিজেদের মাথা ও মুখকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।