তিতাস প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে পরকীয়ার জেরে মো. নজরুল ইসলাম ভূইয়া (৩০) নামে এক যুবককে ডেকে এনে নৃশংসভাবে ৪ টুকরো করে হত্যার পর নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক নারী স্মৃতি আক্তার অন্তঃসত্ত্বা। নিহত নজরুল উপজেলার সাহাবৃদ্ধি গ্রামের মো. হানিফ ভূইয়ার ছেলে।
এলাকাবাসীর দাবি, নজরুলের বিরুদ্ধে অতীতে কোনো চরিত্রগত অভিযোগ ছিল না।
তিতাস থানার ওসি শহিদুল উল্লাহ জানান, আটকরা হলেন, উপজেলা মজিদপুর গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার। দুই সন্তানের জননী ও অন্তঃসত্ত্বা স্মৃতি ভাড়া বাসায় থাকাকালীন নজরুলের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কয়েকবার আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন স্বামী হোসেন। সম্পর্ক শেষ না হওয়ায় হোসেন হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং তার নকশা অনুযায়ী স্ত্রী স্মৃতিকে দিয়ে নজরুলকে বাসায় ডেকে আনেন।
গত ৬ আগস্ট রাতে স্মৃতির ডাকে নজরুল তাদের বাড়িতে গেলে দরজার আড়ালে লুকিয়ে থাকা হোসেন চাইনিজ কুড়াল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। নজরুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্মৃতি তার মুখ চেপে ধরেন এবং হোসেন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
পরে লাশ ৪ টুকরো করে চারটি বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের তিতাস নদীতে ফেলে দেন তারা। নজরুল নিখোঁজ থাকায় নিহতের বাবা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
আসামিদের স্বীকারোক্তির পর রবিবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল লাশ উদ্ধারের অভিযান শুরু করে। সংবাদ লেখা পর্যন্ত নদী থেকে ইটভর্তি প্লাস্টিকের ব্যাগে পাওয়া গেছে নিহতের দুটি বিচ্ছিন্ন হাত।