মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কোরবানি ঈদের পরদিন ভারি বৃষ্টি হয়েছে। এতে জবাইকৃত পশুর রক্ত ও বর্জ্য ধুয়ে মুছে গেছে। ফলে অনেকাংশে কমে গেছে পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি। মঙ্গলবার ( ১৮ জুন ) দুপুরে ঝরা এই ভারি বৃষ্টিতে কোরবানির বর্জ্য ধুয়ে মুছে পরিষ্কার হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের পরের দিনের ভারি বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার হয়ে গেছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে জবাইকৃত পশুর রক্ত ও বর্জ্য। এতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেকাংশে কমে গেছে। অপরদিকে গরমের অস্বস্তিতে স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দা উপজেলার মকিমপুর এলাকার মামুন সরকার বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি করা হয়েছে। অন্যান্য বছর কোরবানির ঈদের পর বিভিন্ন জায়গায় শুকনো রক্তের বিশ্রী গন্ধ পাওয়া যেত। এতে পরিবেশেরও দূষণ হতো। তবে এ বছর ঈদের পরদিনের ভারি বৃষ্টিতে জবাইকৃত পশুর রক্ত ও অন্যান্য বর্জ্য ধুয়ে গেছে। এতে এ বছর পরিবেশ দূষণ হবে না।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা উপজেলার ছোটধুশিয়া এলাকার রুমেল আহমেদ বলেন, প্রতিবছর কোরবানির ঈদের পর কোরবানির পশুর রক্তের গন্ধে ও কোরবানির বর্জ্যের গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে হতো। তবে এ বছর ঈদের পরের দিনের ভারি বৃষ্টির কারণে কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য ধুয়ে মুছে গেছে। এতে এ বছর পরিবেশ দূষণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে এ উপজেলায় এবার কোরবানি পরবর্তী পরিবেশ দূষণ অনেকটা হ্রাস পাবে।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, কোরবানির পর পশুর দেহের উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য এবং পশুর রক্ত অপসারণের উত্তম পন্থা হলো গর্ত করে মাটিতে পুঁতে ফেলা। অন্যথায় যেখানে সেখানে ফেলে রাখা বর্জ্য পঁচে গিয়ে দুর্গন্ধসহ পরিবেশ দূষণ ঘটাবে। এতে সৃষ্টি হতে পারে নানা ধরনের রোগ।
তিনি আরও বলেন, ঈদ পরবর্তী মঙ্গলবারের ভারি বৃষ্টির ফলে পরিবেশ দূষণ অনেকাংশে কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।