খলিলুর রহমান,ভিক্টোরিয়া কলেজ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের প্রয়াত শিক্ষার্থী এবং ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার(ভিসিটি)’র সক্রিয় মেধাবী নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর স্মরণে ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়ার আয়োজন করেছে ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার। আজ (বুধবার) সকাল ১১ টায় দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। ভিসিটি’র বর্তমান সভাপতি,সহ-সভাপতি,সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যরা অশ্রুসিক্ত নয়নে ইমামের সাথে সাথে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। উক্ত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে সোহাগী জাহান তনুর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি চেয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি পৃথুল দাস, সহ-সভাপতি এনামুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক লিটন মিয়া।
ভিসিটি’র বর্তমান সভাপতি পৃথুল দাস বলেন- তনু আপুর অনেক স্বপ্ন ছিল। পড়াশোনা শেষে একদিন গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবে। পীড়িতের মুখে হাসি ফোটাবে। মানবজন্ম সার্থক করবে। কিন্তু এ কেমন মৃত্যু? এ কেমন নৃশংসতা? যেখানে কুড়িতেই ঝরে পড়তে হলো প্রস্ফুটমান পদ্মকে। কী দোষ করেছিল তনু? কেনই বা তাকে মাংসাশীদের হাতে এমন বিভৎস যন্ত্রণা ভোগ করে মরতে হল? কে দেবে সেই জবাব? কখনো কি হবেনা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার?
ভিসিটি’র সাধারণ সম্পাদক মো: লিটন মিয়া বলেন- ২০ মার্চ ২০১৬ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে একটি নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটেছিলো। এই দিনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ এর ছাত্রী ও ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের প্রতিভাবান একজন সক্রিয় সাংস্কৃতিক নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু আপুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আজও বাংলার মাটিতে খুনিদের বিচার হয় নাই। আমরা তার হত্যার বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ একটি বাসায় টিউশনি করাতে গিয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের সংরক্ষিত এলাকায় সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। প্রথমবার লাশের ময়নাতদন্তে কিছু পাওয়া না গেলেও,দ্বিতীয়বার তিনজন পুরুষের শুক্রাণু পাওয়া যায়। এই ঘটনায় যে মামলাটি হয় তার তদন্তের দায়িত্ব বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বাহিনীর কাছে দেয়া হয়েছে। কিন্তু গত ৮ বছরেও কোন বিচার হয় নি।