মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চান্দলা- ব্রাহ্মণপাড়া রুটে নির্বাচনের পরদিন থেকে সিএনজি ভাড়া রাতারাতি ৫০ শতাংশ বাড়াতে বিপাকে এই রুট চলাচলকারী অনেক শিক্ষার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন গাড়ি সংকটের অজুহাতে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে মিরপুর, কুমিল্লা সহ বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে সিএনজি চালকরা। একদিন পর প্রশাসনের তৎপরতায় অন্যান্য রুটের ভাড়া স্বাভাবিক হলেও ব্রাহ্মণপাড়া-চান্দলা রুটে
ভাড়া বেশি নেওয়া অব্যাহত রাখেন সিএনজি চালকরা। তারা ২০ টাকার স্থলে ৩০ টাকা করে ভাড়া দাবি করেন। এতে করে বিপাকে পড়েন চান্দলা ও এর আশপাশ থেকে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ, ব্রাহ্মণপাড়ার মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলজ চৌধুরী কলেজ, সোনার বাংলা কলেজ, ভগবান সরকারি স্কুলে আসা শত শিক্ষার্থী।
চান্দলা থেকে কুমিল্লায় নিয়মিত যাতায়াত করেন কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ইয়াসমিন মুন্সি। তিনি অভিযোগ করেন হঠাৎ করেই দেড়গুণ ভাড়া হয়ে যাওয়ায় বেশ অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে।
মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, তাদের প্রতিদিন এ রুটে চলাচল করতে হয়। এভাবে হঠাৎ ৫০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের কলেজে আসতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাদের টিফিনের টাকা থেকে যাতায়াতের ভাড়া বহন করতে হচ্ছে
খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত সোমবার ( ৮জানুয়ারি) ও মঙ্গলবার( ৯ জানুয়ারি) সারাদিন ২০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা করে নেওয়া হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের কাছে যাত্রীরা অভিযোগ দিলে কেউ কেউ নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করলেও বেশিরভাগ সিএনজি চালক অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ করলে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া, নানা রকম হয়রানি ও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাংবাদিক পরিচয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে প্রতিবেদকের সাথেও দুর্ব্যবহার করা হয়।
এ ছাড়া একই রুটের ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর পথেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই বেশ কিছু সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বন্ধ না করলে আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷