তিতাস প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর উপোর্যুপুরি পাইপরেন্স আঘাতে প্রাণ গেলো গৃহবধুর।
স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যার পর লাশের পাশেই বসে ছিলো পাষন্ড ঘাতক স্বামী।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের সরকার বাড়ীতে।
নিহত আঁখি আক্তার (২১) ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি সরকারের মেয়ে।
ঘাতক স্বামী সাইফুল ইসলাম মিন্টু (৪৩) একই গ্রামের সরকার বাড়ীর মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত স্বামী মিন্টুকে আটক করে নিয়ে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় সময় স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে কলহ-বিবাধ চলে আসছিলো। এর আগেও ভিকটিমকে পিটিয়ে মুখের নিচের পাটির কয়েকটি দাঁত ফেলে দেয় ঘতক স্বামী। সবশেষ গত ১৫দিন পূর্বেও এ নিয়ে সামাজিকভাবে মিমাংসা করে সংসার করার জন্য দিয়ে মিলিয়ে দিয়ে যায় এবং মিন্টুর কোন রকম কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে ১লাখ টাকা দেয়া হবে। এই টাকা নিয়েই বৃহস্পতিবার ভোরে বাক বিতন্ডা থেকে লোহার পাইপরেন্স দিয়ে মাথায়, গালে,কানে চোখের উপরে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে লাশের পাশেই বসে থাকে ঘাতক স্বামী।
আরো জানা যায়, আখি আক্তার ও মিন্টু মিয়া দম্পতির তিন বছরের সংসারে আবরার নামে ১৯ মাসের একটি শিশু পুত্র সন্তান রয়েছে। মায়ের মৃত্যু ও বাবা জেল হাজতে যাওয়ায় নিষ্পাপ শিশুটির ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য এলাকাবাসীর।
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কান্তি দাস বলেন, হত্যাটি পারিবারিক কলহের জেরে হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারন করা হচ্ছে। তার মাথায়,কানে, গালে, চোখের উপরে ও নাকে পাইপরেন্স এর আঘাতের কারনে প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয়েছে।
পাইপরেন্সটি আমরা উদ্ধার করেছি। ঘাতক স্বামী পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করে কোর্টে প্রেরন করি। নিহতের বড় ভাই শাকিবুল হাসান বাদী হয়ে এজাহার দিয়েছে
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরন করি।