মোঃ রেজাউল হক শাকিল :
টানা ভারি বর্ষণ ও ভারতীয় ঢলে প্লাবিত কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আটকে পড়া সাধারণ মানুষদের নৌকা নিয়ে উদ্ধারে নেমেছে বিএনসিসি’র সদস্যরা। হঠাৎ এমন বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের দশটি ও মালাপাড়া ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের বাসিন্দারা।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছে উপজেলার সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ ও মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিএনসিসি’র দুটি দল।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের বাগড়া, মানরা, মল্লিকা দীঘি, তেঁতাভূমি, নাগাইশ, চৌব্বাস, দেউশসহ দশটি ও মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া, রামনগর, মনোহরপুর, আসাদনগর ও মালাপাড়াসহ ছয়টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ভেতর ও সালদা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে এসব এলাকা প্লাবিত হলে শুক্রবার সকাল থেকে বিএনসিসি’র সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
উপজেলার দক্ষিণে গোমতী নদীর বাঁধ ও উত্তরে সালদা নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের বিএনসিসি সদস্যরা কাজ করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, বন্যা এলাকায় আটকে পরা মানুষদের উদ্ধার, খাবার, পানি ও ঔষধ সরবরাহে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে উপজেলার দুটি প্রতিষ্ঠানের বিএনসিসি সদস্যরা মাঠে নিয়োজিত আছে। উপজেলার বন্যা প্লাবিত এলাকায় বন্যাদুর্গতের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যার পানিতে আটকা পড়া মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। তাদের গবাদিপশুসহ সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করছি। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে কোনো ধরনের সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।