মোঃ রেজাউল হক শাকিল ।।
বর্ষা এখনো শুরু হয়নি। এখন মাঝেমাঝে সামান্য বৃষ্টি হয়। এ সামান্য বৃষ্টিতেই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর এলাকার সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে যাচ্ছে। কোথাও জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে দিনের পর দিন আবার কোথাও পানি নামতে কয়েক ঘন্টা সময় লাগে। এতে চলাচলের ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বাসী। বিভিন্ন স্থানে পানি নিষ্কাশনের খাল, নালা ভরাট ও সংকীর্ণ হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন ব্রাহ্মণপাড়ার সচেতন নাগরিকরা।
এছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার প্রধান সড়কের দুই পাশে মার্কেট, দোকান ও আবসীক ভবনের সামনে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রেখে রাস্তার মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবহার করার কারণে রাস্তায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও সংস্কার না থাকায় তা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
গত রোববার রাতে বৃষ্টির পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভিশন হাসপাতালের সামনের (ব্রাহ্মণপাড়া – কুমিল্লা) সড়কটি যেন জলাবদ্ধ পুকুর। দেখে বোঝার উপায় নেই এটা একটা সড়ক। এসব সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে বিপদজনক অবস্থায় যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। জলাবদ্ধ রাস্তায় দুটি মাছের গাড়ি উল্টিয়ে গেলে, সকল মাছ রাস্তার পানির মধ্যে ছড়িয়ে যায়। এসব মাছ ধরতে স্থানীয় লোকজন জাল দিয়ে সড়কটিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে। সড়কটি ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লার আঞ্চলিক মহাসড়ক হওয়ায় মানুষ জরুরী প্রয়োজনে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছে। এছাড়া এই সড়কের টাটেরা শিশু মাতৃ হাসপাতাল সামনে ও ব্রাহ্মণপাড়া বাজারেও জলাবদ্ধতা দেখা যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হক বলেন গতকাল থেকে সাধারণ মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছেন এ সড়কটি। আমি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কুমিল্লা উর্ধ্বতন
কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে রাস্তার ঠিক হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম সুজন বলেন, সড়কের দু’পাশে উচু স্থাপনা মাটি ভরাটের কারণে পানি সরতে পারছে না। আমরা উপজেলা প্রশাসন এক সাথে বসে শীঘ্রই পানি নিষ্কাশন চলাচলের উপযোগী করব।