নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি :
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম ফাজিল মাদরাসার পশ্চিম পাশের কাচা সড়কটির পাকাকরণ কাজ শুরু হয়েছে র্দীর্ঘ ১বছর পূর্বে, কিন্তু স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পরিবারের বাড়ির পাশে ১শ’ মিটার রাস্তা বাধার মুখে পড়ে পুরো সড়কটির নির্মাণ কাজ র্দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ হয়ে আছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী বড়বাম ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী, কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণকারী ও ৫ গ্রামের হাজার-হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটিতে বেআইনি ভাবে করা দেয়াল ভেঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ করার দাবিতে সোমবার দুপুরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার শতশত মানুষ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বড়বাম ফাজিল মাদরাসা সিনিয়র শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী শাহাব উদ্দিন রাফি, স্থানীয় সমাজপতি মনিরুজ্জামান, ইব্রাহীম খলিল, শাহ আলম মজুমদার রিপন। মানববন্ধনে বক্তারা সড়ক নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বড়বাম গ্রামের মরহুম মাওলানা অলি উল্লাহর ছেলে নাঙ্গলকোটের পুজকরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ, তার ভাই আসাদ উল্লাহ ও জোবায়ের হোসেন রিয়াদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও সড়কের উপর করা অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটির কাজ শেষ করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাস্টার মোহাম্মদ মুরাদ বলেন, আমি অথবা আমার পরিবারের কোন ব্যক্তি সড়ক নির্মাণে বাধা প্রদান করেনি। আমরা বলেছি সড়কটি ভূমি অধিকগ্রহণ আইন ২০১৭ মেনে যেন করা হয়। এ আইন না মেনে সড়ক নির্মাণ করতে চাইলে ব্যক্তিগত জায়গায় করা বাড়ির বাউন্ডারি দেয়াল ভাঙ্গা এবং পুনরায় করা, দোকান ভাঙ্গা ও গাছপালা কেটে ফেলার ফলে আমাদের প্রায় ৫লাখ টাকার ক্ষতি হবে, আমার এ ক্ষতি পূরণ কে দিবে? তাই আমি চাই সরকারের আইন মেনে ভূমি অধিকগ্রহণের মাধ্যমে সড়কটি করা হোক।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে রাস্তাটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মা এন্টার প্রাইজ স্বত্তাধিকারীর মোবাইল ফোন নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিয়ে মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
লাকসাম উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, গ্রামের মানুষের স্বার্থে রাস্তা পাকা হচ্ছে। এখন কেউ রাস্তার জায়গা দিতে না চাইলে স্থানীয় ভাবে বসে সমাধান করতে পারলেই রাস্তার কাজ হবে। জমি অধিকগ্রহণ করা বা ক্ষতিপূরণ দেয়ার কোন সুযোগ আমাদের নেই তাই বিষয়টি স্থানীয় ভাবেই মিমাংসা করতে হবে। কাজ শেষ করতে পারলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিল পাবে, না হয় বিল পাবে না।