গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির, কুমিল্লা থেকে।।
হাজীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানকারী বৃহত্তর হজ্ব কাফেলা (শাহ আমানত হজ কাফেলার) ব্যবস্থাপনায় হজ্বে গমনেচ্ছুক সহস্রাধিক হাজীদের হজ্ব প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও হাজী সমাবেশ ২৭ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ১০টা থেকে নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে শাহ আমানত হজ্ব কাফেলার চেয়ারম্যান আমিরুল হুজ্জাজ আলহাজ্ব শাহ সুফি মাওলানা ইয়াছিন মাহমুদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় পুরুষ ও মহিলা হাজীদের আলাদা ব্যবস্থাপনায় হজকালীন করণীয় নিয়ে বড় প্রজেক্টরের মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেন হজ্ব বিশেষজ্ঞ মুয়াল্লিম ও ওলামায়ে কেরাম। কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে শাহ সুফি মাওলানা ইয়াসিন মাহমুদ সিদ্দিকী বলেন, উপমহাদেশের অন্যান্য দেশসহ প্রতিটি দেশ আল্লাহর মেহমান হাজীদের জন্য বিশেষ ভর্তুকি দেয়। দুঃখের বিষয় ব্যতিক্রম কেবল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিমান অব্যবস্থাপনার কারণে সারা বছর লোকসান দেয়। আর হজ্ব মৌসুমে হাজীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করে লোকসান পুষিয়ে নেয়। সম্মানিত হাজীদের নিয়ে নিছক ব্যবসার এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে সাশ্রয়ী মূল্যে হজ্ব সম্পাদন করতে সকল এয়ারলাইন্সকে হাজী পরিবহনের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। আলহাজ্ব শাহ সুফি মাওলানা ইয়াছিন মাহমুদ সিদ্দিকী বলেন, সকল এয়ারলাইন্স হাজী পরিবহনের সুযোগ না পাওয়ায় প্রতিযোগিতা না থাকায় হজ্ব ব্যয় প্রতিবছরই বাড়ছে। ওপেন স্কাই নীতি গ্রহণ তথা আন্তর্জাতিক সকল এয়ারলাইন্সকে হাজী পরিবহনের সুযোগ দিয়ে হজ্ব ব্যয় হাজীদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন হজ্ব ব্যবস্থাপনাকে হাজীবান্ধব করার আহ্বান জানান এবং চট্টগ্রামের পাহাড়তলীস্থ পরিত্যক্ত হাজীক্যাম্পকে সংস্কার করে হাজীদের ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, সবর ও ধৈর্যের পরীক্ষাই হচ্ছে পবিত্র হজ্ব। নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে হজের আহকাম আরকানসমূহ পালন করে মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি ও পরকালে জান্নাতের পথ সুগম করতে হবে। শাহ আমানত হজ কাফেলা হাজীদের সন্তুষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ও অ্যাডভোকেট এ.ডি.এম আরুছুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় হজকালীন করণীয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন চবি অধ্যাপক ড. আল্লামা এ.এস.এম বোরহান উদ্দিন, কাফেলার পরিচালক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ও আলহাজ্ব মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন জহুর, আল্লামা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী, আল্লামা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রিজভি, আল্লামা মুহাম্মদ ফখরুদ্দিন, মাওলানা ইয়াসিন আনসারী আল মাদানি, মাওলানা মুখতার আহমদ রিজভি, মাওলানা আলী শাহ নেছারী, মাওলানা নূর মোহাম্মদ নেজামী, মাওলানা ইকবাল হোছাইন আলকাদেরী, মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুস আলকাদেরী, মাওলানা হাফেজ খাইরুল আনোয়ার, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান মুরাদ কাদেরী, মাওলানা সৈয়দ নূর মুহাম্মদ আলকাদেরী, মাওলানা হাফেজ মোহাম্মদ আলী, মাওলানা তারেক আবেদীন। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আলহাজ্ব কবির আহমদ সিআইপি, মাওলানা হারুনুর রশিদ চৌধুরী, ডা: আব্দুল করিম, মাওলানা আবু মুছা কাদেরী প্রমুখ। পরে মিলাদ কিয়াম শেষে দেশ জাতির কল্যাণ, বিশ্বশান্তি, নিপীড়িত মানবতার পরিত্রাণ এবং হাজীদের নিরাপদে হজ্ব পালনে আল্লাহর রহমত কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী।