মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।
জন্মের পর কান্না না করায় মৃত ভেবে নেওয়া নবজাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ধাত্রীর চেষ্টায় কেঁদে উঠেছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে খুশিতে আত্মহারা নবজাতকের স্বজনসহ পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নবজাতকটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নবজাতকটি ব্রাহ্মণপাড়া সাহেবাবাদ ইউনিয়নের নগরপাড় এলাকার আবুল বাশার ও তানজিনা আক্তারের কন্যা সন্তান।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে প্রসব ব্যথা নিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন তানজিনা আক্তার নামে এক নারী। কিছুক্ষণ পরেই একটি কন্যাশিশু জন্ম দেন তিনি। জন্মের পর কান্না করেনি নবজাতকটি। উপস্থিত সবাই নবজাতকটিকে মৃত ভেবেছিলেন। পরে হাসপাতালের ধাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস নবজাতকটির শ্বাসযন্ত্রে যান্ত্রিকভাবে বায়ুচলাচল চালানোর চেষ্টা করে। কিছুসময় পর নবজাতকটি কেঁদে ওঠে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুমি আক্তার বলেন, নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রসব ব্যথা ওঠার পর ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। তবে এরচেয়ে বেশি সময় অপেক্ষা করলে বাচ্চার স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যহত হয় ও ব্রেইনে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন অবস্থা থেকে কোনো কোনো নবজাতককে আর ফিরিয়ে আনাও সম্ভব হয় না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, অধিকাংশ প্রসূতি মাকে গ্রামে অপ্রশিক্ষিত দাই দিয়ে প্রসবের চেষ্টা করে। পরে ব্যর্থ হয়ে আমাদের কাছে আসেন। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। এই নবজাতকটির ক্ষেত্রেও এ ঘটনাই ঘটেছে।
তিনি বলেন, আমাদের বিচক্ষণ চিকিৎসক ও ধাত্রীর নিবিড় পরিচর্যায় নবজাতকটি সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে উন্নতির দিকে এসেছে। প্রসূতি মায়েদের সঠিক সময়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে সেবা নেওয়ার আহ্বান জানাই।