মোঃ রেজাউল হক শাকিল ।।
এবছর কুমিল্লায় মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হচ্ছে না অবারিত হলদে সরিষা ক্ষেত। সরিষার হলদে হাসিতে দোল খাচ্ছে না কৃষকের স্বপ্ন।
এ সময় যেদিকে দুই চোখ যেত দেখা মিলতো শুধু সবুজ ও হলুদের সমারোহ। অল্পদিনের আবাদে কৃষকদের বেশি একটা খরচ হয় না বলে তাঁরা সরিষার আবাদ করে থাকেন। আমন ধান ওঠার আগে ও পরে কৃষকেরা জমিতে সরিষা চাষ করে।
এ বছর সরিষা চাষের শুরুর দিকে যখন কৃষি মাঠ সবুজ থেকে হলুদে রূপ নিচ্ছে ফুলে ফুলে, তখন কয়েক দিনের বৃষ্টি আর ঘুর্নিঝড় মিধিলের প্রভাবে জমিতে পানি লাগায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়। বিশেষ করে যেসব খেতের সরিষার গাছ ভেঙে যায় ওই সব খেতের কৃষকেরা বেশ ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন। তবে যেসব জমিতে পানি লাগেনি সে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবছর কুমিল্লা জেলা জুড়ে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার ৯ শত ৮ হেক্টর এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ৩ হাজার হেক্টর।
এ ব্যপারে বুড়িচং উপজেলার গাজিপুর গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি কৃষি অফিসের সরবরাহকৃত উন্নত জাতের সরিষা চাষ করেছি। তাই আবাদের শুরুতে যে বৃষ্টি হয়েছিল তাতে তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে যাঁরা দেশি জাতের সরিষা চাষ করেছে, তাঁরা আশানুরূপ ফলন পাবেনা।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই ইউনিয়নের পূর্ব পোমকাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল মান্নান বলেন, এ বছর আগাম জাতের সরিষা চাষিরা কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাব জমিতে পানি লেগে সরিষার গাছ নষ্ট হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলার মহেশপুর এলাকায় কৃষক আবুল হোসেন বলেন, এ বছর আমি জমি প্রস্তুতি নেওয়ার সময় টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি কারনে আমার জমিতে পানি লেগে বীজ তলা নষ্ট হয়ে গেছে। তবে জমির মাটি শুকালে আবারও চাষদিয়ে জমি তৈরি করতে হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক( ডিডি) আইয়ুব মাহমুদ গতকাল কুমিল্লার কাগজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে এ বছর সরিষার জমি কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে কৃষক তা পুষিয়ে নিতে পারবে। আমাদের লক্ষমাত্র এখনো আশানুরূপ হয়নি,আমন ধান কাটার পর অনেক কৃষক সে জমিতে সরিষার আবাদ করবে। তবে লক্ষমাত্র আর্জিত না হলেও আমরা কাছাকাছি যেতে পারবো।