শফিউল আলম রাজীব:
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ, অর্জিত ছুটি প্রদান এবং ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নিয়োগবিধি বাতিল, শিক্ষা ক্যাডার তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার, জেলা উপজেলায় শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রশাসন সৃষ্টি ও প্রয়োজনীয় পদসৃজন, পদসৃজনে জটিলতা কাটানোসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবার (২ অক্টোবর) সারাদেশে একযোগে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করেছে।
তারই ধারাবিকতায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আহ্বানে সোমবার দেবীদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ ইউনিটের উদ্যোগে কলেজ ক্যাম্পাসে সকাল ৯ টা থেকে দিনব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে কর্তব্যরত শিক্ষকরা। এসময় কলেজ ইউনিটের সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মবিরতি পালনকালে বক্তব্য রাখেন দেবীদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ ইউনিটের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক জনাব মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক ও কলেজ ইউনিটের সাবেক সম্পাদক জনাব মো. নজরুল ইসলাম, কলেজ ইউনিটের বর্তমান সম্পাদক জনাব মো. সাহেদ ইকবাল চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডক্টর আল-আমীন, প্রভাষক জনাব রাসেল আল মামুন, প্রভাষক ও কলেজ ইউনিটের যুগ্ম-সম্পাদক জনাব মো. নাজির হোসাইন প্রমুখ।
বক্তারা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে বক্তব্যে বলেন, পদোন্নতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে শিক্ষা ক্যাডার। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সময়মতো পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে ১০ বছর যাবত প্রভাষক পদেই রয়েছেন, এ মুহূর্তে এমন পদোন্নতির অপেক্ষায় আছেন ৭ হাজার কর্মকর্তা। সময়মতো পদোন্নতি না হওয়ায় অনেকে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবেই অবসরে যাচ্ছেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর সহযোগী অধ্যাপক পদে ৬৯০ জনের পদোন্নতি হয়েছে, অথচ এই পদে ৩ হাজারের মতো কর্মকর্তা পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য। এসময় বক্তারা আরো বলেন, দাবিগুলো পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে।