1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
বাঁশের খাঁচা বিক্রি করে চলছে সংসারের চাকা,একে একে দিয়েছেন ৫ ছেলে মেয়ের বিয়ে। - Dainik Cumilla
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লা মিডিয়া ফোরামের সভাপতি সাদিক মামুন, সম্পাদক আতিক , সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল হক বাবু  কুমিল্লায় সড়কের পাশে অজ্ঞাত যুবকের লাশ বাঁশের খাঁচা বিক্রি করে চলছে সংসারের চাকা,একে একে দিয়েছেন ৫ ছেলে মেয়ের বিয়ে। কুমিল্লায় ১১ জুলাইকে ‘গণঅভ্যুত্থান প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করলেন -মন্ত্রী আসিফ মাহমুদ ব্রাহ্মণপাড়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল রাখতে প্রশাসনের অভিযান বিতর্কিত মামলা বাণিজ্যে অভিযুক্ত ছাত্রনেতার আমন্ত্রণে কুবিতে উপদেষ্টা আসিফ ,জানে না প্রশাসন নাঙ্গলকোটের ঢালুয়ায় বাজার পাঠাই ডট কম এর শুভ উদ্বোধন কুমিল্লায় মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন কুমিল্লায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় কিশোরীর আত্মহত্যা কুমিল্লা বোর্ডে ইংরেজি ও গণিতে ফল বিপর্যয়, কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

বাঁশের খাঁচা বিক্রি করে চলছে সংসারের চাকা,একে একে দিয়েছেন ৫ ছেলে মেয়ের বিয়ে।

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
  • ২ বার পঠিত

বরুড়া প্রতিনিধি, কুমিল্লা:

ভ্যানগাড়িতে হাঁস-মুরগির খাঁচা ঝুলিয়ে গ্রামের বাজারে বাজারে ফেরি করে বিক্রি করেন মহরম আলী(৬০)।এই বাঁশের তৈরি পণ্য বিক্রি করেই অভাবের সংসার চলে মহরম আলীর। জীবিকার প্রয়োজনে তিনি এ পেশায় প্রায় ৪০বছর ধরে রয়েছেন। কুমিল্লার বিভিন্ন বাজারে ফেরি করে বাঁশের তৈরি হাঁস-মুরগির খাঁচা বিক্রি করে আসছেন তিনি। প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকার বাঁশের পণ্য বিক্রি হয় তার। খরচ বাদে প্রতিদিন লাভ হয় ৩শ থেকে ৪শ টাকা। যা দিয়ে চলে এই অভাবের সংসার।
মহরম আলীর বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের মুগগাঁও গ্রামে। স্ত্রী সহ দুই ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে ৭ জনের সংসার তার। এই ব্যবসা করেই কোনমতে দিয়েছেন ৫ ছেলে মেয়ের বিয়ে।ছেলেরা এখন রাজমিস্ত্রীর কাছে যুক্ত আছে। করেছেন আলাদা সংসার। মেয়েরা আছেন সুখে-শান্তিতে শশুড়বাড়িতে। উপজেলার ভাউকসার বাজারে বাঁশের পণ্য বিক্রি করার সময় এইসব বিষয়ে কথা বলেন মহরম আলী।

তিনি জানান,দীর্ঘ দিনের এই পেশা ধরে রাখতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় এখনো। সপ্তাহে ২/৩ দিন বরুড়ার দক্ষিন অঞ্চল পাঁচপুকুরিয়া থেকে বাঁশের খাঁচা ক্রয় করে নিয়ে আসতে হয়।তারপর বিক্রি করি কাছে কিনারার বাজার গুলাতে। এখন আর আগের মত শরীরে শক্তি পাইনা। আগে বরুড়ার অনেক বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম।একবাড়িয়া,পয়েলগাছা, আড্ডা, মুদাফরগঞ্জ বাজারে যখন আগে এগুলা নিয়ে যাইতাম, নিমিষেই সব বিক্রি হয়ে যেত।এখন এলাকার আশেপাশের বাজার গুলাতে বসে বসে বিক্রি করি। সপ্তাহে দুইদিন ভাউকসার বাজারে বসি এই পন্য গুলা নিয়ে।।কখনো কখনো এলাকায় ঘুরে বিক্রি করি। আগে বাঁশের পন্য অনেক ধরনের আনলেও এখন শুধু বাঁশের খাঁচা বিক্রি করি। প্রতিবার ৪০ টা করে খাঁচা ক্রয় করে নিয়ে আসি।এগুলা বিক্রি শেষ হলে আবার আনি।প্রতিটা ১২০ টাকা করে ক্রয় করে, বিক্রি করা হয় ১৫০/১৬০ টাকা করে।প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার মত বিক্রি করতে পারি। কয়েক বছর আগেও যেখানে প্রতিদিন ৩ হাজার এর উপর বিক্রি করতে পারতাম।কিন্তু এখন প্লাস্টিক পন্যের কারনে আমাদের এই ব্যবসায় কিছুটা ধস পড়ে গেছে।

তিনি আরো জানান,এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বাঁশ এর খাঁচা কিনে বিক্রি করি।সেই লাভের টাকায় ঋণ শোধ করা, সংসার চালানো সব। তবে এনজিওর ঋণের সুদ বেশি।যদি স্বল্প সুদে সরকারিভাবে ঋণ পাওয়া যেত তাহলে আমার জন্য খুব উপকার হতো।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD