দৈনিক কুমিল্লা রিপোর্ট:
কুমিল্লায় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও কুমিল্লা আজ ১ জন পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় আন্দোলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তাঁরা আন্দোলনকারী ও কর্তব্যরত সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে বাধা ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন।
আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক সংলগ্ন কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থান নিতে চাইলে সেখানে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বাধা প্রদান করে।
পরে আন্দোলনকারীদের আরেকটি অংশ মহাসড়কের আলেখারচর এলাকায় ৩ ঘন্টা অবস্থান নেয়। এসময় তাঁরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে সেখানে বিক্ষোভ করে এবং সরকারের পতন সংক্রান্ত বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে তাঁরা আলেখারচর পুলিশবক্স ভাংচুর করে।
দুপুর ১টায় আন্দোলনকারীরা মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের সাথে সংঘর্ষ হয়। এসময় নুরনবী নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। এছাড়া ইলিয়টগঞ্জে নিহত হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল এরশাদ, দেবিদ্বারে নিহত হয়েছেন রুবেল নামের একজন বাস চালক। এছাড়া আহত হয় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা: নাসিমা আক্তার বলেন, সরকারী হিসাব অনুযায়ী কুমিল্লায় ৩ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক। গুরুতর আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এরপর বিকাল ৫.৩০ টায় কোটবাড়ি এলাকা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে সদর দক্ষিণ থানার ওসি আলমগীর ভূঁইয়াকে ফোন দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।