1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
কুমিল্লায় চিঠি নেই পিওন আছে, ডাকবাক্স যেন ময়লার ‘ভাগাড়’ - Dainik Cumilla
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ব্রাহ্মণপাড়ায় যুবদল নেতা আব্দুর রহিম অপুর মায়ের ইন্তেকাল ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ কুমিল্লা জেলা পুলিশে মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত দাউদকান্দির রহমত আলী পেলেন মৎস্য খাতে জাতীয় স্বর্ণপদক কুমিল্লায় নারীসহ ৩ জন মাদক কারবারি আটক বরুড়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ পালিত ব্রাহ্মণপাড়ায় নদী থেকে উদ্ধার করা মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করলো সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট লাকসামে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল দাউদকান্দিতে সদ্যযোগদানকৃত ইউএনও’র সাথে গণমাধ্যম কর্মীদের মতবিনিময় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আগুনে সর্বস্ব হারালেন রোস্তম আলী

কুমিল্লায় চিঠি নেই পিওন আছে, ডাকবাক্স যেন ময়লার ‘ভাগাড়’

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৮৩ বার পঠিত

নেকবর হোসেন
কুমিল্লা প্রতিনিধি

একসময় মানুষের যোগাযোগ কিংবা মনের ভাব আদান- প্রদানের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল ডাক বিভাগ। এই ডাক বিভাগের মাধ্যমে মানুষ প্রিয়জনের খোঁজ নিত। হলুদ রঙের পোস্টকার্ডে কিংবা সাদা কাগজে কালো অক্ষরে চিঠি লিখে হলুদ খামে ভরে লাল ডাকবাক্সে ফেলে পাঠানো হতো প্রিয়জনদের কাছে। ভিন্ন ধরনের অনুভূতি আর অনাবিল আনন্দে ভরপুর ছিল মায়াবী হাতের লেখা সেই চিঠিতে।

প্রিয়জন থাকলেও এখন আর ডাকের মাধ্যমে দাওয়াত কিংবা খোঁজ খবরের জন্য চিঠির প্রয়োজন হয় না। কারও বাড়ির সামনে এসে ডাকপিয়ন তার সাইকেলের বেল বাজিয়ে চিঠি চিঠি বলেও হাঁক ছাড়েন না। সময়ের পরিবর্তনে প্রযুক্তির দাপটে সেসব সোনালি দিনগুলোর স্মৃতিময় দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সেই হলুদ খাম আর লাল ডাকবাক্সের ব্যবহার।
কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে এখনো কিছু ডাকবাক্স দেখা গেলেও সেগুলো ভাঙা ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। কোথাও আবার ময়লার ভাগাড়ের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় বিবর্ণ ডাক বাক্স। ডাকঘর আর ডাকবাক্সের এখন আর যৌবন নেই। মরিচায় ক্ষয়ে যাওয়া লাল রঙের ডাকবাক্সে তামাটে রং ধরেছে, মরিচা ধরেছে ডাকঘরের টিনের চালা ও বেড়াতে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা সাইফুল্লাহ তারেক অতুল বলেন, বিজ্ঞান দিন দিন উৎকর্ষিত হচ্ছে আর আবেগ পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে। চিঠির স্থান দখল করে নিয়েছে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, স্কাইপি, ফেসবুক কিংবা টেলিগ্রাম। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইমেইল, এসএমএস ও নানা মাধ্যমে দ্রুত যোগাযোগ করা সম্ভব হওয়ায় সেদিকেই ঝুঁকেছে মানুষ। ডিজিটাল এ যুগে ডাকঘরের আবেদন দিনদিন ফিঁকে হয়ে যাচ্ছে। হয়তো আগামীর শিশুদের সঙ্গে ডাকবাক্সের দেখা হবে জাদুঘরে।

কুমিল্লা প্রধান ডাকঘরের সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. বেলাল হোসেন বলেন, এখন আর আগের মতো হাতে লেখা চিঠি আদান-প্রদান হয় না। বিশেষ করে বিদেশি চিঠির সংখ্যা খুবই কমে গেছে। তবে ডাক বিভাগকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পার্সেল আদান-প্রদান, মানি অর্ডার, সঞ্চয়পত্র, সরকারি ডকুমেন্ট, প্রাতিষ্ঠানিক কাগজপত্র, চাকরিসংক্রান্ত পরিষেবা লেনদেনে সীমিত জনবল নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখনো মানুষের আস্থার জায়গায় রয়েছে ডাক বিভাগ।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD