কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে ‘পোড়ামাটির ফলকচিত্রের প্রাচীন বাংলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবন চিত্রের উপস্থা: প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ’ নামের শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ( ২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাফরিজা শ্যামা। তিনি বলেন, আমরা জানি না যে আমাদের সুযোগগুলো ঠিক কোথায় আছে। আমাদের ফান্ড আছে কি না সেটাও জানি না! আমাদের গবেষণার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ফান্ড দেওয়া হয়। কিন্তু সেটা প্রোপারলি চাইতে হবে। ভালো কাজ করেন, গবেষণা মতো বিষয় নিয়ে আসেন। অবশ্যই ফান্ড পাবেন। বাংলাদেশ কালচার ভিত্তিক যেকোনো বিষয় নিয়ে আসেন আমরা রিকগনাইজ করবো।
এসময় প্রবন্ধে পাঠের বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, শিল্পী যা দেখে না, তা আঁকে না। টেরাকোটা নিয়ে গবেষণাটি করার সময় আমরা ইতিহাসের মাপকাঠিতেই এগিয়েছি। আমরা পাহাড়পুর, ময়নামতি যশোরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে উপাদান সংগ্রহ করেছি। আমাদের গবেষণায় চতুর্থ শতক থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত পোড়া মাটির ফলকচিত্রের মাধ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক পুনর্গঠনের যে প্রক্রিয়া তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের রিসোর্স খুবই কম। ছাত্রদের থেকে টাকা নিয়ে ডিপার্টমেন্টের ফিল্ড ওয়ার্ক করতে হয়। কিন্তু তা সবার করার সুযোগ থাকে না। এ ধরনের বিষয়গুলো ক্লাসে বসে নেওয়ার মতো না। এগুলো ফিল্ড ভিত্তিক।
প্রবন্ধ আলোচকের বক্তব্য ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান বলেন, আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক ডিপার্টমেন্টের কাজ হচ্ছে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান নিয়ে। ১৯৯২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলেও এর আগে এটা ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে লিটারেচার ভিত্তিক ছিল।
পরে প্রত্নতাত্ত্বিক ডিপার্টমেন্ট চালু হলে , এ নিয়ে গবেষণা শুরু হয় তখন ইতিহাসের উপাদানগুলো ভাগ হয়। সে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের ভিতর আমরা জানি যে কয়েন’স রয়েছে, ইনক্রিপসেন, পোড়ামাটি যা আমরা টেরাকোটা বলি। এখানে একটা পার্ট নিয়ে মূলত কাজটা হয়েছে। গবেষকরা যে বিষয়টি নিয়ে এসেছে, তা বিভিন্ন দেশের পর্যটকের ভ্রমণ কাহিনি থেকে জানতে পারি কিন্তু এখানে চাক্ষুষ প্রমাণ দেখলাম।
সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মালিহা নার্গিস আহমেদ বলেন, এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা কিছু গুপ্তধন পেয়েছি। যা আমাদের ভবিষ্যতে আরও কনট্রিবিউশন হবে। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তকরণ কাজ চলছে।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাইফুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।