1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
ব্রাহ্মণপাড়ার দীর্ঘভূমি যেন পানকৌড়িদের কলোনি - Dainik Cumilla
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় অজ্ঞাত কাভার্ড ভ্যান চাপায় এক যুবকের মৃত্যু দেবীদ্বারে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কুমিল্লায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে বৃদ্ধাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ নাঙ্গলকোটে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া’র উপর হামলার প্রতিবাদে যুবদলের বিক্ষোভ লাকসামে কৃষককে কুপিয়ে জেলহাজতে প্রবাসী রফিক নাঙ্গলকোটে চরের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল হচ্ছে…বিএনপি আহ্বায়ক চৌদ্দগ্রামে মুন্সীরহাটের ৩নং ওয়ার্ডে জামায়াতের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত বুড়িচংয়ে ৪২ বছর ইমামতির পর ইমামকে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা বুড়িচংয়ে বিষ প্রয়োগ ও এসিড ঢেলে শিশু হত্যার ঘটনায় দুই আসামি গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণপাড়ার দীর্ঘভূমি যেন পানকৌড়িদের কলোনি

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৭২১ বার পঠিত

মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।

সময়ের ব্যবধানে পানকৌড়ির সংখ্যা কমে গেলেও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় দেখা গেছে উল্টো চিত্র। উপজেলা সদরের দীর্ঘভূমি এলাকার স্থানীয় কয়েকটি পুকুর পাড়ের গাছগুলোতে প্রতিদিনই জমে পানকৌড়ির মিলনমেলা। পুকুরের আশপাশের গাছ ও গ্রামের বিভিন্ন গাছে বসবাস করায় পুরো এলাকা হয়ে উঠেছে পানকৌড়ি কলোনি। এ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীও। তবে স্থানীয়রা বলছেন যতই শীত ঘনিয়ে আসছে ততই পানকৌড়ির সংখ্যাও কমে আসছে। গ্রীষ্ম মৌসুমে অতিথি পাখির মতো এই এলাকায় হাজার হাজার পানকৌড়ি এসে আবাসস্থল তৈরি করে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিগত কয়েক বছর ধরেই গ্রীষ্ম মৌসুমে পানকৌড়িগুলো এই এলাকায় এসে আশ্রয় নেয়। শীত এলেই পানকৌড়িগুলো কোথায় যেন চলে যায়। গ্রীষ্মের শুরুতেই পানকৌড়িগুলো ওই এলাকার পুকুর পাড় ও এর আশপাশের গাছগুলোতে তৈরি করে আবাসস্থল। সারা দিন পানকৌড়িগুলো পুকুরের জলে সাঁতার কাটে। একে অপরের সাথে খেলে জলকেলি। পুকুর ও আশপাশের জলাশয় থেকে মাছ শিকার করে নিজেদের ও পরিবারের খাদ্য সংগ্রহ করে। পানকৌড়িদের জলে ডুবসাঁতার ও ওড়াউড়ির দৃশ্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। যার ফলে ওই এলাকায় দিন দিনই বাড়ছে পাখিপ্রেমী ও বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থীদের সংখ্যা। পাখি শিকারি থেকে পাখিগুলোকে সুরক্ষা দিতে স্থানীয়রা পানকৌড়িগুলোর দিকে সুদৃষ্টি রাখছেন। স্থানীয়দের দাবি পানকৌড়িগুলো সংরক্ষণের।

স্থানীয় বাসিন্দা আলফু মিয়া বলেন, গরমকালে কেথা থেকে যেন পানকৌড়িগুলো এ এলাকায় আসতে শুরু করে, আবার শীত শুরু হতে না হতেই যেতে শুরু করে। তাদের উড়াউড়ি ও ডাকা ডাকিতে এই এলাকা মুখরিত হয়ে থাকে। অনেকেই আসেন এ দৃশ্য দেখতে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান বলেন, দাদা-দাদির কাছ থেকে শুনেছি কোনো এক সময় গ্রামবাংলার প্রায় প্রতিটি পুকুরের জলে পানকৌড়ি দেখা যেত। এখনতো সচরাচর পানকৌড়ি দেখাই যায় না। যে কারণে এখানে এত পানকৌড়ি একসাথে দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন অনেকেই আসে পাখিগুলোর দলবেঁধে উড়াউড়ি ও সাঁতার দেখতে। তবে শীত আসা শুরু করতেই অধিকাংশ পানকৌড়ি চলে গেছে। গ্রীষ্মকালে অসংখ্য পানকৌড়ি এই এলাকার গাছে গাছে ও পুকুর জলাশয়ের মধ্যে দেখা যেত।

স্থানীয় বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আমির হোসেন বলেন, পানকৌড়িরা তাদের প্রজননের সময়ে এই এলাকার গাছে গাছে বাসা বাঁধে। বাচ্চাগুলো স্বনির্ভর হয়ে উঠতে উঠতে হেমন্তকালের শেষ সময়ে এসে যায়। তখন একটু একটু শীত পড়তে শুরু করে। এরইমধ্যে পানকৌড়িগুলো এ এলাকা থেকে যেতে শুরু করে। মূলত প্রজনন ও বাচ্চাগুলে স্বনির্ভর হওয়া পর্যন্ত পানকৌড়িগুলো এ এলাকায় বসতি স্থাপন করে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. শঙ্খজিৎ বলেন, পানকৌড়ি একটি অতিপরিচিত পাখি। বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলে তাদের বেশি দেখা যায়। তবে তুলনামূলকভাবে এই এলাকায় পানকৌড়ি সংখ্যা তেমন একটা নেই। আমাদের দেশ থেকে পাখি বিলুপ্ত হওয়ার প্রধান কারণ দিন দিন বন উজাড় হওয়া ও গাছগাছালি কমে যাওয়া। পাখিদের বিলুপ্তির হাত থেকে ধরে রাখতে হলে তাদের বসবাসযোগ্য অভয়াশ্রম তৈরি করে দিতে হবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD