1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে ৪০ বছরেও নিমার্ণ হয়নি বর্জ্য পরিশোধনাগার; হুমকিতে জীববৈচিত্র্য - Dainik Cumilla
বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নাঙ্গলকোটে ইউনিয়ন বিএনপি’র পুনরায় গ্রহণযোগ্য সম্মেলন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন চৌদ্দগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত চৌদ্দগ্রামে বিনাধান-১৯, ২১ ও ব্রি ধান-৪৮ এর মূল্যায়ন শীর্ষক মাঠ দিবস পালিত লাকসামে যুব দিবসে আলোচনা সভা কুমিল্লায় ৭৫ বোতল স্কাফসহ একজন মাদক কারবারিকে আটক কুমিল্লায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপন কুমিল্লা নগরীতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা রকি গ্রেফতার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে বুড়িচংয়ে আলোচনা,সনদ প্রদান ও চেক বিতরণ নাঙ্গলকোটে বিএনপির আমি-ডামি নির্বাচন বর্জন করে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লায় বিএনপির কাউন্সিল প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা, বাছাই-প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন

বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে ৪০ বছরেও নিমার্ণ হয়নি বর্জ্য পরিশোধনাগার; হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ২৯০ বার পঠিত

মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ১৯৮৪ সালে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (বিজিডিসিএল)’র গ্যাস কূপ থেকে অনুষ্ঠানিক ভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়। ৪০টি বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে করে এ ফিল্ড থেকে উত্তেলনকৃত ডিজেল ও পেট্রোলের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে ফিল্ডের বাহিরের একটি পুকুরে। বছরের পর বছর এ পুকুরে বর্জ্য ফেলায় জনস্বাস্থ্য ও কৃষি জমি ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বর্ষা মৌসুমে পুকুরে ফেলা বর্জ্য এলাকার খাল ও বিভিন্ন পুকুরে মিলিত হচ্ছে। আর দুর্গন্ধযুক্ত খালের কালচে পানি কৃষিকাজে ব্যবহার করায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। মারাত্মক দূষণের কারণে এলাকার পুকুর-জলাশয়ের মাছ মরে যাচ্ছে। আর খালের পানিতে মেশা বর্জ্যের দুর্গন্ধে এলাকার মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। গ্যাস ফিল্ডে বর্জ্য শোধনাগার না থাকায় মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখেও পড়েছে এই এলাকার জীববৈচিত্র্য।
পরিবেশ অধিদপ্তর আইন বলাহয়েছে, প্রতিটি কলকারখানার কেমিক্যালযুক্ত এই বর্জ্য-পানি পরিশোধন করতে হবে এবং পরিশোধনকৃত পানি আবার কাজে লাগাতে হবে। এজন্য ব্যবহার করতে হবে তরল পানি বর্জ্য শোধনাগার বা এ্যাফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি)। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীতে এই ইটিপি প্ল্যান্ট না থাকার কারনে বছরের পর বছর দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী সূত্রে জানা যায়, তিতাস ও হবিগঞ্জের মতো ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড বাখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে। ১৯৮৪ সালে বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্র হতে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, বাখরাবাদ ফিল্ডের মোট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ ১,৩৮৭ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। গ্যাসের উপজাত হিসেবে দৈনিক প্রায় ৩৬.৮৩ ব্যারেল কনডেনসেট (জ্বালানী তেলের) উপাধান উৎপাদিত হয়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ গ্যাস ক্ষেত্রে কনডেনসেট ও গ্যাসের গড় অনুপাত এবং পানি ও গ্যাসের গড় অনুপাত যথাক্রমে ১.১৫৫ ব্যারেল মিলিয়ন ঘনফুট এবং ৯.৯২৫ ব্যারেল মিলিয়ন ঘনফুট ছিল। এখানকার কন্ডেনসেট (তেলের উপাধান) প্রক্রিয়াজাত করে পেট্রোল ও ডিজেল তৈরি করা হয়। যা মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড বাজারজাত করে থাকে।
বাখরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মো: খোকন বলেন, গ্যাস ফিল্ডের পশে আমার বাড়ি। বাখরাবাদ ফিল্ডের পশের একটি পুকুরে পানি বর্জ্য ফেলার কারনে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। ওই বর্জ্যরে পুকুরের পানির দূর্গন্ধে আশপাশের মানুষ অতিষ্ট। এখানে যে পুকুরটিতে পানি বর্জ্য ফেলা হয় সে পানির দুর্গন্ধে আশপাশে পশুপাখি যেতে পারে না। বর্ষার মৌসুমে এ বর্জ্য পানি আশপাশের পুকুরের পানিতে মিশ্রিত হয়ে স্থানীয়দের স্বাস্থ্যেও জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।
ছয়ফুল্লাহকান্দি গ্রামের মো: সোহাগ বলেন, গ্যাসফিল্ডের কর্মরত কর্মকর্তারা আমাদের মানুষ মনে করে না। কয়েকমাস পরপর এ গ্যাসফিল্ডের ওভার গ্যাস শূন্যে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ওই সময় বিকট শব্দ হয় । কয়েকঘন্টা যাবত এ কার্যক্রম চলে যার কারনে শিশুরা আতঙ্কে থাকে। এবং খোলা পুকুরে বর্জ্য পানি ফেলার কারনে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এখানে থাকা বর্জ্যরে দুর্গন্ধে স্থানীয়রা নানা সমস্যায় ভোগে। পানি বর্জ্য পরিশোধনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাই।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: জিয়াউল কবীর বলেন, আমাদের ফিল্ডের বর্জ্য পরিশোধন হয়ে পুকুরে যায়। যে পুকুরটিতে বর্জ্য ফেলা হয় সেটি আমাদের নিজস্ব পুকুর। ওই পুকুরটির চারপাশে আমরা আরসিসি পেলা সাডিং ওয়াল নির্মান করা আছে। যার কারনে পুকুরের বর্জ্য অন্য কোনো পুকুরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া আমরা ইটিপি প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। শিগ্রই টেন্ডারের মাধ্যমে ইটিপি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক বলেন মোছাব্বের হোসেন মো: রাজিব বলেন, পুকুরে পানি বর্জ্য ফেলার বিষয়টি আমার জানা নাই। এ বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD