1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য, তা হয় নাই: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী - Dainik Cumilla
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চিতই পিঠার মত উঠছে রাস্তার কার্পেটিং, নিম্নমানের কাজ বন্ধ করালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ নাঙ্গলকোটে কাপ কার্নিভাল ২০২৫ অনুষ্ঠিত বুড়িচংয়ে কৃষকদের মাঝে বীজ, চারা ও সার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন দেবীদ্বারে রুবেল হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণপাড়া ঐতিহ্যবাহী সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি হলেন ব্যারিস্টার আব্দুল আল মামুন এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫ উপলক্ষে আবদুল মতিন খসরু মহিলা ডিগ্রি কলেজে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া বুড়িচংয়ের আনন্দপুরে ফকির আব্দুস সালাম (রহ:) এর ৪৯ তম ওরুছ মাহফিল সম্পন্ন ব্রাহ্মণপাড়ায় মৌসুমি ফলের চাহিদায় কদর কমেছে আমদানিকৃত ফলের কুমিল্লা নগরীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের তদারকি অভিযানে দোকানের মিষ্টিতে মিলল ফাঙ্গাস

মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য, তা হয় নাই: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১২৯ বার পঠিত

শফিউল আলম রাজীব:

মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য, কিন্তু তা হয় নাই। দানবের দেশ নয়, মানুষের দেশ চেয়েছিলাম। কোন মুক্তিযোদ্ধার অপরাধে একটি মামলায় ফাঁসী হতে পারেনা, এটা আইনে নাই। বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল নাহার উপর অবিচার করা হয়েছে, যাবজ্জীবন কারাদন্ড ১৪ বছরের স্থলে তাকে ২৪ বছর কারা ভোগ করতে হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের ফাঁসীর দন্ড থেকে মুক্তি পেয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ভোগ শেষে সদ্য কারামুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখালচন্দ্র নাহার বাড়িতে তাকে দেখতে এসে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম ওই বক্তব্য তুলে ধরেন।

তিনি বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সমালোচনা করে আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা, জাতির পিতাই হওয়া উচিত ছিল, আওয়ামীলীগের না। রাজনীতি করতে এসে বঙ্গবন্ধুর থেকে দেশপ্রেম শিখেছি এখন আ’লীগের মাঝে দেশপ্রেম নাই। বঙ্গবন্ধু মানুষের মাঝে বেঁচে থাকুক তা কি আপনারা চান? যদি চান তবে মানুষের কাছে যান, মার্কা নিয়ে লাফাইয়েন না। যে নৌকা দেখলে মানুষের চুখে পানি আসতো সেই নৌকাকে এখন আর মানুষ ভালো বাসে না।

আপনি আওয়ামীলীগে যোগ দিবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু করি। যে বঙ্গবন্ধুর পিঠের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছে তাকে নিয়ে দলে স্থান দিয়েছে সে আওয়ামীলীগে আমি যাব ! এখনকার আওয়ামীলীগ নেতাদের কোনো চরিত্র নাই। আমি দেখেছি পাকিস্তান আমলে দারোগা পুলিশেরা যেমন ছিলেন, এখন তার চাইতেও বেশি খারাপ অবস্থা। বাড়ির মালিক ঠিক না থাকলে কুকুরগুলোও ঠিক থাকে না।

এসময় উপস্থিত সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী দেবীদ্বারবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, আজকে স্বাধীনতার চেতনাকে, স্বাধীনতার মর্মবাণীকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, আপনারা সতর্ক থেকে সচেতনতার সাথে সকল প্রকার অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলুন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীর প্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ বিপ্লব বীর প্রতীক, সদস্য সারোয়ার হোসেন সজিব, সৈয়দ মাহববুর রহমান পারভেজ, যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিবুন্নবী সোহেল, সদস্য মাহবুবুর রহমান রবিন, মো. সাকিল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ুন কবির, সদ্য কারামুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা প্রমূখ।

এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের ‘বীর নিবাস বরাদ্ধের চিঠি’ ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ দু’লক্ষ টাকা রাখাল চন্দ্র নাহার হাতে তুলে দেন। সদ্য কারামুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখালচন্দ্র নাহা বলেন, আমি এখন কারাগারে নাই, মুক্ত আকাশের নিচে আছি, শান্তিতে আছি। আমার মুক্তির জন্য দেশবাসী অনেক আন্দোলন করেছেন, আপনাদের কারনে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছি, তাই সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।

উল্লেখ্য উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে ১৯৯৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী দীনেশ চন্দ্র দত্তকে হত্যা মামলায় ওইদিন সন্ধ্যায় দেবীদ্বার থানা পুলিশ স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাখাল চন্দ্র নাহাকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে ২০০৩ সালের ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) খান আবদুল মান্নান বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্রকে মৃত্যুদন্ড দেন। এর পর ২০০৮ সালের ৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাখাল চন্দ্র নাহার মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে ৩ এপ্রিল কারা কর্তৃপক্ষের চিঠি পায় পরিবার। পরের দিন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠন ও দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে দেবীদ্বারে এবং ৫ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে ফাঁসির দন্ড রহিত করার জন্য দাবি জানানো হয়। এ আন্দোলনে যোগ দেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও। পরের দিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ‘মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসি কাল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি রাষ্ট্রপতি ইয়াজ উদ্দিনকে এ বীর মুক্তিযোদ্ধার ফাঁসির দন্ড মওকুফ করার জন্য অনুরোধ করেন। ফাঁসি সম্পন্ন হওয়ার ৩ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ রাত ৯টায় রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বার্তায় ফাঁসীর দন্ড রহিত করেন। ২৫ জুন রাষ্ট্রপতি তার মৃত্যুদন্ড মওকুফ করেন। অবশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করে পাঁচ বছর ৭ মাস সাজা রেয়াত পাওয়ায় দীর্ঘ ২৪ বছরের কারা জীবনের অবসান ঘটে এবং গত ৩ জুলাই (রবিবার) দুপুরে কুমিল্লা কারাগার থেকে তিনি মুক্তি লাভ করেন।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD