1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
৪ বছর ধরে অনুপস্থিত থেকেও বেতন তুলেছেন নিয়মিত - Dainik Cumilla
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় অবৈধ ভারতীয় চিংড়ির রেনুসহ ট্রাক জব্দ কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে হত্যা মামলার আসামি মাদকসহ আটক কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভরাসার ইঞ্জিনিয়ার এরশাদ গার্লস হাই স্কুলে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উদযাপন চৌদ্দগ্রামে মাটিকাটা গর্তে ডুবে ভাই বোনের মৃত্যু, স্বজনদের আহাজারি ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে ব্রাহ্মণপাড়ায় কুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে নাঙ্গলকোটে আনন্দ মিছিল ব্রাহ্মণপাড়ায় বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতনসহ সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা বুড়িচংয়ে গাড়ি চাপায় অজ্ঞাত এক যুবক নিহত কুমিল্লা নগরীতে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগে দুটি পরিবহন সার্ভিসকে জরিমানা

৪ বছর ধরে অনুপস্থিত থেকেও বেতন তুলেছেন নিয়মিত

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২০৫ বার পঠিত

মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ বছর ধরে কর্মস্থলে না এসেও নিয়মিত বেতন ভাতার প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা তুলার অভিযোগ উঠেছে আয়া মোসা: রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে। ১৯৯৫ সালে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়া পদে যোগদান করেন। ২০১৯ সালের মাঝা মাঝি সময় চাকুরিরত অবস্থায় রহিমা বেগম শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে যান। ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বিগত চার বছর ধরে শুধুমাত্র বেতন ও ভাতার টাকা উত্তোলনের সময় ছাড়া নিজ কর্মস্থলে দেখা যায় না তাকে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের আদেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এভাবেই দায়িত্বে অবহেলা করে কোন রকম ছুটি ছাড়াই বছরের পর বছর হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকছেন। এ জন্য তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও আরএমও’র বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিক এক কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ডিজিটাল হাজিরা (ফিঙ্গার প্রিন্ট) হাজিরার আওতায় আনা হলে রহিমা বেগমের ফিঙ্গার প্রিন্ট না নিয়ে স্বামী জামাল হোসেনের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হয়। এর পর থেকে প্রতিদিন স্বামী জামাল হোসেন হাজিরা মেশিনে নিজের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে হাজিরার উপস্থিতি দেখিয়ে আসছে। মূলত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বিগত ৪ বছর ধরে কোন রকম ছুটি ছাড়াই বছরের পর বছর কর্মস্থলে না এসেও প্রতি মাসে বেতনের ২৪ হাজার টাকা ও সরকারি সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা তুলে নিচ্ছেন রহিমা বেগম।
আয়া রহিমা বেগমের স্বামীর বাড়ি পরমতলা গ্রামের আব্দুল জলিল জানান, রহিমা বেগম তেমন কোন অসুস্থ না। তিনি বাড়িতে থেকে বিভিন্ন কৃষিকাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন সব সময। মূলত তার স্বামী জামাল হোসেন একটু অলস প্রকৃতির মানুষ শুনেছি সেজন্য হাসপাতালের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত স্বামীকে দিয়ে তার ডিউটি করাচ্ছে।
আয়া রহিমা বেগম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আমি পায়ে ব্যথা পেয়ে প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলাম। কয়েক বছর আমার চলাফেরা করতে খুবই কষ্ট হয়েছিল। তারপর থেকে নিয়মিত চিকিৎসার ফলে বর্তমানে আমি কিছুটা ভালো। আমি প্রতিদিনই হাসপাতালের ডিউটিতে যাই, অসুস্থতার কারণে আমি কাজ করতে পারি না বিধায় আমার স্বামী আমার উপস্থিতিতে কাজে সহযোগিতা করেন।
তবে স্বামী জামাল হোসেন স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে বলছেন ভিন্ন কথা তিনি বলেন, আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত পিঠের ব্যথা নিয়ে খুবই অসুস্থ। পরে আমি বড় স্যারদের হাতে পায়ে ধরে তার উপস্থিতিতে সকল কাজ করার অনুমতি নিয়ে আমি সব কাজ করি।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক অনুপস্থি থাকা ও ডিজিটাল হাজিরা মেশিনে স্বামী-স্ত্রীর দুই জনের ফিঙ্গার প্রিন্ট থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি এখানে দায়িত্ব নেয়ার পর রহিমা বেগমের বিষয়টি জানতে পারি। আমি আসার পর রহিমার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়েছি। আসলে আমার আগে যে কর্মকর্তারা ছিলেন তারা নাকি রহিমা বেগমের অসুস্থতার কথা জেনে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রহিমা বেগমের উপস্থিতিতে স্বামীকে দিয়ে ডিউটি করার অনুমতি দিয়েছিলেন। তার পরেও বিষয়টিকে আমি যাচাই-বাছাই করে গুরুত্বসহকারে দেখছি।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD