1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
৪ বছর ধরে অনুপস্থিত থেকেও বেতন তুলেছেন নিয়মিত - Dainik Cumilla
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লা ট্রমা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ আমার পরিচয়ে কেউ তদবির-চাঁদাবাজি করলে আইনি ব্যবস্থা নিন: আবু রায়হান দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত আধুনিক দেশ গড়তে যোগ্য ও সৎ মানুষের বিকল্প নেই…ডক্টর এডভোকেট মোবারক হোসাইন ব্রাহ্মণপাড়ার সালদানদী বিজিবির অভিযানে দুই ভারতীয় নাগরিক আটক ব্রাহ্মণপাড়ায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন মালিকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা, ৬শ ফোট পাইপ বিনষ্ট কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে ২৭ লাখ টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ কুমিল্লায় ১২ মামলার আসামি ইয়বাসহ গ্রেফতার ব্রাহ্মণপাড়ায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাচ্ছে প্রায় ৩৭ হাজার শিশু চৌদ্দগ্রামে পরিবারের সাথে অভিমানে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা দাউদকান্দিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক অটোরিকশাচালক নিহত

৪ বছর ধরে অনুপস্থিত থেকেও বেতন তুলেছেন নিয়মিত

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৭৮ বার পঠিত

মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ বছর ধরে কর্মস্থলে না এসেও নিয়মিত বেতন ভাতার প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা তুলার অভিযোগ উঠেছে আয়া মোসা: রহিমা বেগমের বিরুদ্ধে। ১৯৯৫ সালে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়া পদে যোগদান করেন। ২০১৯ সালের মাঝা মাঝি সময় চাকুরিরত অবস্থায় রহিমা বেগম শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে যান। ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বিগত চার বছর ধরে শুধুমাত্র বেতন ও ভাতার টাকা উত্তোলনের সময় ছাড়া নিজ কর্মস্থলে দেখা যায় না তাকে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের আদেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এভাবেই দায়িত্বে অবহেলা করে কোন রকম ছুটি ছাড়াই বছরের পর বছর হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকছেন। এ জন্য তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও আরএমও’র বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনচ্ছিক এক কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ডিজিটাল হাজিরা (ফিঙ্গার প্রিন্ট) হাজিরার আওতায় আনা হলে রহিমা বেগমের ফিঙ্গার প্রিন্ট না নিয়ে স্বামী জামাল হোসেনের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হয়। এর পর থেকে প্রতিদিন স্বামী জামাল হোসেন হাজিরা মেশিনে নিজের ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে হাজিরার উপস্থিতি দেখিয়ে আসছে। মূলত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বিগত ৪ বছর ধরে কোন রকম ছুটি ছাড়াই বছরের পর বছর কর্মস্থলে না এসেও প্রতি মাসে বেতনের ২৪ হাজার টাকা ও সরকারি সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা তুলে নিচ্ছেন রহিমা বেগম।
আয়া রহিমা বেগমের স্বামীর বাড়ি পরমতলা গ্রামের আব্দুল জলিল জানান, রহিমা বেগম তেমন কোন অসুস্থ না। তিনি বাড়িতে থেকে বিভিন্ন কৃষিকাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন সব সময। মূলত তার স্বামী জামাল হোসেন একটু অলস প্রকৃতির মানুষ শুনেছি সেজন্য হাসপাতালের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত স্বামীকে দিয়ে তার ডিউটি করাচ্ছে।
আয়া রহিমা বেগম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আমি পায়ে ব্যথা পেয়ে প্রায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলাম। কয়েক বছর আমার চলাফেরা করতে খুবই কষ্ট হয়েছিল। তারপর থেকে নিয়মিত চিকিৎসার ফলে বর্তমানে আমি কিছুটা ভালো। আমি প্রতিদিনই হাসপাতালের ডিউটিতে যাই, অসুস্থতার কারণে আমি কাজ করতে পারি না বিধায় আমার স্বামী আমার উপস্থিতিতে কাজে সহযোগিতা করেন।
তবে স্বামী জামাল হোসেন স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে বলছেন ভিন্ন কথা তিনি বলেন, আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত পিঠের ব্যথা নিয়ে খুবই অসুস্থ। পরে আমি বড় স্যারদের হাতে পায়ে ধরে তার উপস্থিতিতে সকল কাজ করার অনুমতি নিয়ে আমি সব কাজ করি।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক অনুপস্থি থাকা ও ডিজিটাল হাজিরা মেশিনে স্বামী-স্ত্রীর দুই জনের ফিঙ্গার প্রিন্ট থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি এখানে দায়িত্ব নেয়ার পর রহিমা বেগমের বিষয়টি জানতে পারি। আমি আসার পর রহিমার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়েছি। আসলে আমার আগে যে কর্মকর্তারা ছিলেন তারা নাকি রহিমা বেগমের অসুস্থতার কথা জেনে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রহিমা বেগমের উপস্থিতিতে স্বামীকে দিয়ে ডিউটি করার অনুমতি দিয়েছিলেন। তার পরেও বিষয়টিকে আমি যাচাই-বাছাই করে গুরুত্বসহকারে দেখছি।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD