নেকবর হোসেন:
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে উদ্দেশ্য করে সদর আসনের এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন মামলা করেন নাকা। আমি করমু!এত শখ যেহেতু মামলার, আমি করমু। আমি একটু দেখতেছি, আপনি কতটুকু বাড়তে পারেন। আজকে এই চোর মেয়র বলে আমি কি করেছি, আমি সিটি কর্পোরেশন এনে দিয়েছি। ভিক্টোরিয়া কলেজে ৬/৭ টা নতুন বিল্ডিং করেছি। মহিলা কলেজের জন্য মহিলা হোস্টেল করে দিয়েছি। ফয়জুন্নেছা স্কুলে ভবন কটে দিয়েছি৷শহরে যতো উন্নয়ন আমি করেছি। চোর মেয়র এগুলো দেখেনা। সে জনগনের টাকায় টাকা বানাইছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লা নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি বাহার এ কথা বলেন। সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত। কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই বাবলু,ডাক্তার তাহসিন বাহার সূচনার সঞ্চালনায় সন্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি বাহার বলেন, সে প্রশ্ন করে ১২ বছর তাকে কিভাবে রাখলাম? অবশ্য আমার কোনো দোষ ছিলো না। আমি বারবার রিফাতের মনোনয়নের জন্য দলের কাছে গিয়েছি। কিন্তু চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের জন্য আনতে পারি না। যখন আমি রিফাতকে এনেছি তখন সাক্কু ভাই নাই। আরো আগে যদি রিফাতকে আনতে পারতাম, তাহলে কুমিল্লার মানুষের টাকা লুট করতে পারতেন না।
এমপি বাহার বলেন, হেতে ১০ টাকার কাজ করলে ৩ টাকা চুরি করতো। কুমিল্লা শহরকে জঞ্জালে রুপান্তর করেছে। তে কয় হজ্জে এক লগরে কেমনে ছিলেন। তে মক্কায় আমার সাথে দেখা করতে গেছে। সে আপনাদের টাকা লুট করেছে। উনি জানতে চান, ১২ বছর কিভাবে ঘর করলাম? তখন রিফাত (মেয়র) ছিলো না; রিফাত থাকলে কি আপনার সাথে ঘর করি?
সাবেক মেয়র সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এমপি বাহার বলেন,সে এতো ফ্ল্যাটের মালিক হলো কিভাবে? প্রতিটা প্ল্যান পাশ করে টাকা নিয়েছে। আজকে কুমিল্লাকে জঞ্জালের শহরে পরিণত করেছে। বড় বড় বিল্ডিং উঠেছে। কোনো আইনকানুন মানেনি। যেখানে তিন তলার পারমিশন দেওয়ার কথা টাকা নিয়ে সেখানে ১৫তলা/ ১৬ তলার পারমিশন দিয়েছে। শহরটাকে জঞ্জালে পরিণত করেছে। যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। এক ঘন্টা বৃষ্টি হলেই শহর ডুবে যায়। শহরকে শঙ্কুচিত করে ফেলা হয়েছে।’
এমপি বার বলেন,এখন পুরো কুমিল্লা শহরে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। আমাদের মেয়র কোনো কাজ বাকি রাখবেন না।
বক্তব্য শেষে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটিতে আবুল কালাম আজাদ হাশেমকে সভাপতি ও আজিজুল হক আজাদরকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা।