1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
মুরাদনগরে ভারত হতে চোরাই পথে আসা চিনি'তে বাজার সয়লাব - Dainik Cumilla
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লা সীমান্তে ভারতীয় মোবাইল ও ডিসপ্লে জব্দ বুড়িচংয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে বেঁধে নির্যাতন, মূল হোতা আটক ব্রাহ্মণপাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ২ ব্যাক্তিকে কারাদণ্ড ব্রাহ্মণপাড়া ইউএনওর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন চৌদ্দগ্রামে অবৈধভাবে জগন্নাথদীঘির পানি আটকে রাখার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন কুমিল্লায় নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবীতে নাঙ্গলকোটে মানববন্ধন দাউদকান্দিতে ইসলামি ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের মানববন্ধন

মুরাদনগরে ভারত হতে চোরাই পথে আসা চিনি’তে বাজার সয়লাব

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২১১ বার পঠিত

মোঃ মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর:

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় অবৈধ পথে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের চিনি আসছে ভারতীয় সিমান্তবর্তী এলাকা
ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার কসবা এবং কুমিল্লার ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার নয়নপুর এলাকা দিয়ে। সেসব চিনি মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজার ও বাঙ্গরা বাজার এলাকা থেকে বিক্রি হচ্ছে পার্শবর্তী উপজেলার দেবিদ্বার, তিতাস, মেঘনা, হোমান, নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে। অবৈধভাবে এসব চিনি আসায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব, অন্যদিকে দেশের চিনি শিল্পে ঘটছে ব্যাপক ক্ষতি।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা সদরের প্রয়াত হাজী শুক্কুর আলীর ছোট ছেলে জামাল বাহিনীর ১৭ সদস্য বিশিষ্টি একটি চোরাকারবারি চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে এসব চিনি ক্রয়-বিক্রয়। চক্রটি প্রতিদিন কমপক্ষে শতাধিক পিকআপে করে অবৈধ পথে নিয়ে আসা এসব ভারতীয় চিনি বিক্রয় করছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
অন্যদিকে দেশের বাজারের তুলনায় দাম কমে পাওয়ায় এ চিনির কারবার বেড়েই চলেছে এবং স্থানীয় বাজারসহ জেলার অধিকাংশ বাজারে ওই চিনিতে সয়লাব হয়ে গেছে বলে দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের। স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা বলছে, এতে এক শ্রেণির মানুষ লাভবান হলেও দেশীয় চিনিশিল্প হুমকির মুখে পড়ছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এই চোরাচালান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক এক প্রাইকারি ব্যবসায়ী জানান, চোরাকারবারীর প্রধান জামাল উদ্দিন বিজিবির ভূয়া অকশেনের কাগজ তৈরী করে থানা এবং হাইওয়ে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে ধোঁকা দিয়ে মূলত এসব চিনির বস্তা পরির্বতন করে বাজারে বিক্রি করছে। বিভিন্ন সময় পুলিশ এসব চিনির পিকআপ আটক করলেও বিজিবির ভূয়া কাগজ দেখিয়ে পার পেয়ে যায় জামাল।
ব্যবসায়ী মানিক পোদ্দার বলেন, বাজারের চিনির তুলনায় ভারতীয় চিনির প্রতি বস্তায় ৭-৮শত টাকা ব্যবধান হওয়ায় দেশীয় চিনি কেউ এখন আর কিনতে চায় না। কেউ কেউ আবার ভারতীয় চিনির বস্তা পরিবর্তন করে দেশীয় চিনি বলে বেশি দামে বিক্রয় করছে। মূলত প্রশাসনের কোন ধরনের তৎপরতা না থাকায় বাজারে খোলামেলাই মিলছে এসব চিনি। বর্তমানে মুরাদনগর উপজেলার সকল বাজারের চিনি মানেই ভারতীয় চিনি, দেশীয় চিনির কোন অস্তিত্বিই নেই এখন বাজারে।
অভিযুক্ত চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের প্রধান জামাল উদ্দিন বলেন, ভারতীয় চিনি এসব কোম্পানীগঞ্জ বাজারে পাওয়া যায় আমি বিক্রি করি না। আগে অকশনে ভারতীয় কিছু চিনি পেতাম সেগুলো আমি বিক্রি করতাম এখন আর অকশনে পাই না তাই বিক্রিও করি না। আর আমার যে গোডাউন গুলো রয়েছে সেগুলোতে চাল রাখি, চিনি না।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল ও বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী দুজনেই একসুরে গলা মিলিয়ে বলেন, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে আসা চিনির ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD