তাপস চন্দ্র সরকার।।
আসছে ৭ জুলাই রবিবার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইসকন কুমিল্লা জগন্নাথপুরস্থ জগন্নাথ দেবের মন্দির ও ঠাকুরপাড়া রামকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির এর যৌথ আয়োজনে শ্রী শ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবীর রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
তদুপলক্ষে আটদিন ব্যাপী বিবিধ ভাগবতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রী শ্রী জগন্নাথ লীলামৃত পাঠ, বৈদিক নাটক, মহাপ্রসাদ বিতরণসহ মহৎ সাধুসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে ৬ জুলাই শনিবার প্রথম দিন সকাল ৭টায় কুমিল্লা শ্রী শ্রী গুন্ডিচা মন্দির হতে মঙ্গল শোভাযাত্রা সহযোগে জগন্নাথদীঘি থেকে ১০৮ মঙ্গল ঘটে জল আনয়ন শেষে গুন্ডিচা মন্দির মার্জন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর মন্দিরে শুভ অধিবাস।
৭ জুলাই রবিবার দ্বিতীয় দিন জগন্নাথপুর মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের পূজা ও দর্শন আরতী, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোম যজ্ঞ, ভজন কীর্তন, বাউল সংগীত ও পদাবলী কীর্তন এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ ও দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহা হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে জগন্নাথ মন্দির হতে চকবাজার, রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড় হয়ে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শুভ রথযাত্রা। এরপর সন্ধ্যায় গুন্ডিচা মন্দিরে সন্ধ্যারতি কীর্তন ও ভজন কীর্তন এবং রাত ৮টায় ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ লীলামৃত ও মহাপ্রসাদ বিতরণ।
৮ জুলাই সোমবার তৃতীয় দিন দুপুর ১২টা হতে গুন্ডিচা মন্দিরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবীর ভোগ আরতি ও জগন্নাথ লীলামৃত পাঠ এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি কীর্তন। এরপরসন্ধ্যা ৭টায় ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দিরে জগন্নাথ লীলামৃত, নিত্যসেবা সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ।
৯ জুলাই মঙ্গলবার চতুর্থ দিন গুন্ডিচা মন্দিরে দুপুর ১২টা হতে শ্রী শ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা দেবীর ভোগ আরতি ও জগন্নাথ লীলামৃত পাঠ এবং মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি কীর্তন। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় ঠাকুরপাড়া মন্দিরে ভক্তিবৃক্ষ প্রচারে সম্মেলন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ।
১০ জুলাই বুধবার পঞ্চম দিন সকাল ১১টায় গুন্ডিচা মন্দিরে মায়াপুর ইনস্টিটিউট এর শিক্ষা সম্মেলন, ভোগারতি ও জগন্নাথ লীলামৃত পাঠ শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি কীর্তন শেষে ঠাকুরপাড়া মন্দিরে জগন্নাথ লীলামৃত পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ।
১১ জুলাই বৃহস্পতিবার ৬ষ্টম দিন দুপুর ১২টায় ভোগারতি কীর্তন ও জগন্নাথ লীলামৃত পাঠ শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি কীর্তন শেষে ঠাকুরপাড়া মন্দিরে গীতা কোর্স সম্মেলন ও সার্টিফিকেট প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ।
১২ জুলাই শুক্রবার সপ্তম দিন সকাল ১১টায় গুন্ডিচা মন্দিরে বাম হট্ট প্রচারের গুরুত্ব বিষয়ক নামহট্ট সম্মেলন, ভোগারতি ও জগন্নাথ লীলামৃত পাঠ শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি কীর্তন। এরপর সকাল ১০টায় ঠাকুরপাড়া মন্দিরে জাগ্রত ছাত্র সমাজের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী এবং সন্ধ্যায় জগন্নাথ লীলামৃত পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ।
১৩ জুলাই শনিবার অষ্টম দিন সকাল ১১টায় গুন্ডিচা মন্দিরে মানব জীবনে গীতা শিক্ষার গুরুত্ব বিষয়ক বিশেষ সেমিনার, ভোগারতি ও জগন্নাথ লীলামৃত পাঠ, মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি কীর্তন শেষে ঠাকুরপাড়া মন্দিরে জগন্নাথ লীলামৃত পাঠ, ইয়ুথ ফ্যাস্টিভ্যাল, বৈদিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৃত্য। সবশেষে মহাপ্রসাদ বিতরণ।
১৪ জুলাই রবিবার (উল্টো রথযাত্রা) গুন্ডিচা মন্দিরে সকাল ৭টা হতে যথাক্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেব এর পূজা ও দর্শন আরতি, বিশ্ব শান্তি কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, ভজন কীর্তন ও মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং দুপুর ২টায় ধর্মসভা শেষে ভক্ত সমাবেশ ও পৃথক পৃথক রথারোহণ, শুভ আরতি ও মহাহরিনাম সংকীর্তন সহযোগে ঠাকুরপাড়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ গৌর নিতাই মন্দির হতে কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ ও চকবাজার হয়ে জগন্নাথপুর মন্দির পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা’র মধ্যদিয়ে শেষ হবে রথযাত্রা মহোৎসব।
ওই রথযাত্রা মহোৎসব ও ভাগবতীয় অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে সনাতনী সকলের উপস্থিতি ও সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেছেন কুমিল্লা জগন্নাথপুরস্থিত শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের মন্দির ইসকন্ সভাপতি শ্রী সুকান্ত চক্রবর্তী (সুদর্শন জগন্নাথ দাস ব্রহ্মচারী)।