1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
ব্রাহ্মণপাড়ায় দখলমুক্ত করে খাল খনন, ভালো ফলনের আশা কৃষকের - Dainik Cumilla
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাকওয়া বিহীন সমাজ হচ্ছে ক্রাইমের সমাজ -এটিএম মাছুম স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা পরীক্ষা হয়ে যাক: হাসনাত আবদুল্লাহ ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত এডভোকেট মো. আরিফুর রহমান শ্রাবণ কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেলেন ব্রাহ্মণপাড়া কৃতি সন্তান এডভোকেট নূরুল হুদা কুসিক কাজ না করেই ঠিকাদারের বিল উত্তোলন, দুদকের অভিযান নাঙ্গলকোটে শিবিরের পক্ষ থেকে ছাত্রদের মাঝে অর্থসহ কুরআন উপহার কুমিল্লায় দশ বছর ধরে আওয়ামী প্রভাবে বহাল তবিয়েতে গবেষণা কর্মকর্তা ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত জরুরি সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ দেওয়া প্রয়োজন- সৈয়দ তাহের

ব্রাহ্মণপাড়ায় দখলমুক্ত করে খাল খনন, ভালো ফলনের আশা কৃষকের

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২১০ বার পঠিত

মো. রেজাউল হক শাকিল।।

ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর ইউনিয়নের রানীগাছ ও মাধবপুর গ্রাম হয়ে বয়ে যাওয়া খালটি দখল মুক্ত করে খনন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর ইউনিয়নের রানীগাছ ও মাধবপুর গ্রাম হয়ে বয়ে যাওয়া খালটি দখল মুক্ত করে খনন করা হয়েছে।
অবৈধ দখলমুক্ত করে খাল খননের উপকার পেতে শুরু করেছেন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর ইউনিয়নের চাষিরা। ওই ইউনিয়নের রাণীগাছ ও মাধবপুর গ্রাম হয়ে বয়ে যাওয়া খালটি দখলমুক্ত করে খননের ফলে পানির প্রবাহ থাকায় এ বছর জমে যাওয়া পানিতে জলাশয়ে পরিণত হয়নি কয়েক শ হেক্টরের দুটি ফসলের মাঠে। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই জমিগুলোতে ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা।

এদিকে শিগগিরই উপজেলার অন্যান্য খাল দখলমুক্ত ও খনন করে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাধবপুর ইউনিয়নের রাণীগাছ গ্রামের দুটি ফসলি মাঠ ও মাধবপুর গ্রামের মাঝখান দিয়ে যাওয়া এক কিলোমিটারের একটি খাল পরে অন্য একটি খালে সংযুক্ত হয়েছে। এই খালের প্রায় ৬০ শতকের মতো ভরাট করে স্থানীয় লোকজন ঘর-বাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করেছিল অবৈধভাবে, যার ফলে রাণীগাছ এলাকার দুটি ফসলের মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এতে গত কয়েক বছর ধরে খালটিতে পানির প্রবাহ না থাকায় ফসলি মাঠ দুটি থেকে সময়মতো পানি নামত না। এতে মৌসুমে ফসল আবাদ করতে বিপাকে পড়তে হতো কৃষকদের।

এ অবস্থার প্রতিকার চেয়ে রাণীগাছ ও মাধবপুর এলাকার বেশ কিছু কৃষক কয়েক মাস আগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কাউছার হামিদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর গত ১৫ দিনো খালটি দখলমুক্ত ও খনন করে এতে পানি নিষ্কাশন ও পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে রাণীগাছ ও মাধবপুর এলাকার কৃষকদের মনে স্বস্তি ফিরেছে।

রাণীগাছ এলাকার কৃষক খোকন চৌধুরী বলেন, ‘এ বছর তিন বিঘা জমিতে ইরি ধান চাষ করেছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে। বাড়ির পাশের খালটি খনন করায় এ বছর পানির সমস্যা হয়নি। এলাকার সব কৃষক তাঁদের প্রয়োজন মতো পানি খাল থেকে নিতে পারছেন এবং বৃষ্টির পানি এই খাল দিয়ে নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। এতে সবার খেতের ফসল বেশ ভালো হবে।’

একই গ্রামের কৃষক জামসেদ আলম বলেন, এ বছর ছয় বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছি। ফলন খুবই ভালো হবে বলে আশা করছি। খাল খননের ফলে এ বছর আর পানি সমস্যা হয়নি। বড় ধরনের কোনো দুর্যোগ না হলে ভালো লাভ পাব।

মাধবপুর গ্রামের আমেনা বেগম বলেন, ‘খালটি খনন করায় আমাদের বাড়িসহ খালের দুই পাশের বাড়ি-ঘরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ অনেক উপকার হয়েছে।’

রাণীগাছ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নোয়াব মিয়া বলেন, উপজেলার সব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার অনেক খাল বেদখল হয়ে ও পলি পড়ে গভীরতা কমে পানি নিষ্কাশন এবং প্রবাহ বন্ধ হয়ে আছে। এতে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন এলাকার শত শত কৃষক। শিগগিরই ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো খনন করা উচিত।

ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কান্তি দেবনাথ বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের নির্দেশে মাধবপুর ও রাণীগাছ গ্রামের এই খালের ৪০ শতকের মতো অবৈধ দখলমুক্ত করে খনন করা হয়েছে।

খালটি দখল মুক্ত করে খননের ফলে পানি প্রবাহ থাকায় এ বছর জমে যাওয়া পানিতে জলাশয়ে পরিণত হয়নি কয়েক শ হেক্টরের দুটি ফসলের মাঠে।
খালটি দখল মুক্ত করে খননের ফলে পানি প্রবাহ থাকায় এ বছর জমে যাওয়া পানিতে জলাশয়ে পরিণত হয়নি কয়েক শ হেক্টরের দুটি ফসলের মাঠে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ কাউছার হামিদ বলেন, উপজেলার মাধবপুর ও রাণীগাছ এলাকার একটি খালের মাধবপুর অংশে স্থানীয় কিছু লোক বেদখল ও ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। এতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে ওই এলাকার দুটি কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়। কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়ের নির্দেশে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই খাল অবৈধ দখলমুক্ত করে খনন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবে বেদখল হয়ে থাকা খাল খননের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো রয়েছে। শিগগিরই ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো দখলমুক্ত ও খনন করা হবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD