1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
মুরাদনগরে ২৫ বছরের চাকরি জীবনে একদিনও ছুটি নেননি শিক্ষক জয়নাল আবেদীন - Dainik Cumilla
রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
চৌদ্দগ্রামে কনকাপৈত ইউনিয়নে ০৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দোয়া ও ইফতার মাহফিল মাহে রমজান সংযম, ত্যাগ, ধৈর্য্য ও শৃঙ্খলার শিক্ষা দেয়: সফিকুর রহমান ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক কুমিল্লা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)’র ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর উপর হামলা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নাঙ্গলকোটে ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতা শ্রীঘরে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না -বরকত উল্লাহ বুলু

মুরাদনগরে ২৫ বছরের চাকরি জীবনে একদিনও ছুটি নেননি শিক্ষক জয়নাল আবেদীন

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৮৩৩ বার পঠিত

মোঃ মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা :

জীবনের পুরোটা সময়ই কাটিয়েছেন প্রিয় শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে। সেই ভালোবাসার টানে ২৫ বছরের কর্মজীবনের শিক্ষকতায় সরকার নির্ধারিত ছুটির বাইরে একদিনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন না। এই শিক্ষক চাকরিজীবনটা কাটিয়েছেন আরবি পড়িয়ে। ব্যতিক্রমী এই শিক্ষাগুরু আর কিছুদিন পরেই যাবেন অবসরে। ঝড়-বৃষ্টি ও অসুস্থ্যতা যাই হোক না কেনো, মাদ্রাসায় আসেননি এমন রেকর্ড নেই তার।
তিনি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের শুশুন্ডা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের ধামঘর গ্রামের মৃত ওয়াছি উদ্দিন খাঁনের ছেলে মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।

জানা যায়, ১৯৮৮ সালের জানুয়ারি মাসে জয়নাল আবেদীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন মুরাদনগর উপজেলার শুশুন্ডা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায়। তবে চাকুরিতে বেতনভূক্ত হন ১৯৯৪ সালে। পরে ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ চলে যাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব পান তিনি। তখন মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন কর্মজীবনে কখনও ফাঁকি দেবেন না, এই ব্রত ছিল তার। সে অনুযায়ী কাজ করতে করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই হয়ে ওঠে তার জীবনের ধ্যান-জ্ঞান। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্বে ছিলেন ২০০৫ সাল পর্যন্ত এরই মধ্যে মাদ্রাসায় তিনি দাখিল বিভাগ (এসএসসি সমমান) চালু করতে সক্ষম হন।

শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা গর্ববোধ করি স্যারের কাছ থেকে কিছুটা হলেও শিখতে পেরেছি। স্যার শিক্ষা দেয়ার পাশা-পাশি সবসময় আমাদেরকেও মাদ্রাসা বন্ধ না করতে উৎসাহিত করেন।

অপরদিকে এমন একজন ব্যক্তিকে সহকর্মী হিসেবে পেয়ে গর্বিত অন্য শিক্ষকরাও। তারা বলছেন, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন শিক্ষক সমাজের জন্য অনুকরণীয়।

শিক্ষক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, মূলত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব পালন করার সময় প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এতটাই মনোযোগী হয়েছিলাম যে, ছুটি কি জিনিস সেটা ভুলেই গিয়েছিলাম। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব ছেড়েছি ঠিকই, প্রতিষ্ঠানের প্রতি যে ভালোবাসা তৈরি হয়েছে, তা আর ছাড়তে পারিনি। তাই সে ভালোবাসার টানে মাঝে মধ্যে রাতে শরীরটা অসুস্থ হলেও সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা ভাবতেই নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ মনে হতো। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি এখন এতটাই মায়ায় পরেছি, চাইলেই এখানে না এসে থাকতে পারিনা। ২০২৯ সালে চাকরি জীবনের ইতি টানবেন শিক্ষার্থীদের প্রিয় জয়নাল আবেদীন স্যার। এতদিন যে মাদ্রাসার সাথে আত্মার সম্পর্ক, অবসরের পরদিন থেকে সেই মাদ্রাসার করিডোরে আর হাঁটবেন না তিনি। এ কথা মনে আসতেই চোখ ছল ছল করে ওঠে তার। জানালেন, অবসরে গিয়েও বসে থাকবেন না তিনি।

এ বিষয়ে শুশুন্ড ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন, জয়নাল আবেদীন সাহেব চাইলেই অন্য শিক্ষকদের মতো প্রতি বছর ২১ দিন করে ছুটি কাটাতে পারতো। অথচ দীর্ঘ ২৫ বছরে তার পাওনা ৫২৫ দিন ছুটি নেননি তিনি। তার কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে। সে শিক্ষক সমাজের গর্ব।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD