1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
মুরাদনগরের উৎপাদিত সিদল শুটকি: অর্থনীতিতে নতুন বিপ্লব, রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে - Dainik Cumilla
মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০২:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নাঙ্গলকোটে বিএনপির আমি-ডামি নির্বাচন বর্জন করে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লায় বিএনপির কাউন্সিল প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা, বাছাই-প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন কুমিল্লায় ইয়াবা, গাঁজা ও স্কাফসহ আটক ৩ কুমিল্লায় পরকীয়ার কারণে চার টুকরো খুনে ব্যবহৃত কুড়াল ও ছুরি উদ্ধার, স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে আসামি করে মামলা কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ৯ জন, হাসপাতালে ভর্তি ২৬ জবি ছাত্রী অবন্তিকার মৃত্যু: অব্যহতি পেলেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম লাকসামে অনার্স নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করলো নওয়াব ফয়জুন্নেছা কলেজ ছাত্রশিবির দীর্ঘ ১৩ বছর পর লাকসাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় ৫০ লাখ টাকার ভারতীয় সিটিরিজিন ট্যাবলেট আটক সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মুরাদনগরে মানববন্ধন

মুরাদনগরের উৎপাদিত সিদল শুটকি: অর্থনীতিতে নতুন বিপ্লব, রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৩৫১ বার পঠিত

মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা ঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সল্পা গ্রামে বহুকাল থেকে সিদল ও শুটকি তৈরি হচ্ছে। তাদের তৈরি এ সিদল দেশের চাহিদা মিটিয়ে ভারতে রপ্তানী হচ্ছে। সল্পা গ্রামের কয়েকটি পরিবার তাদের বাপ-দাদার আদি এ পেশাকে এখনো ধরে রেখেছেন। এক সময় ওই গ্রামের অর্ধশতাধীক পরিবার সিদল তৈরির কাজ করতো। এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ না পাওয়ার কারণে আজও কিছু মানুষ শিদলকে ঘিরে নিজের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করলেও বর্তমানে তাদের অনেকে পেশা বদলে চলে গেছেন অন্য পেশায়। শুটকির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাদের শিদল এখন অনেকেরই সাধ্যের বাইরে চলে গেছে।
উপজেলার সল্পা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মাচায় সিদল ও শুটকি শুকানোর কাজ করছেন রবীন্দ্র চন্দ্র ও বিষ্ণু চন্দ্র সরকার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিদল প্রস্তুত করতে সময় পার করেন তারা।

মল সূত্রধর নামে এক শুটকি উৎপাদন কারি বলেন, দুই জাতের সিদল তৈরি হয়। একটি হচ্ছে পোয়া অন্যটি পুঁটি মাছের। পোয়া মাছ চট্টগ্রাম থেকে সংগ্রহ করা হয়। পুঁটি মাছ মেঘনা ও সিলেট এলাকা থেকে আসে। পুঁটি মাছ আনার পর এগুলোর পেট কাটতে হয়। আমাদের এলাকার প্রায় ১০০ নারী প্রতিদিন এ কাজ করেন। মাছের পেট কেটে নিয়ে জাল দিয়ে তেল ওঠানো হয়। ওই তেল নারীদের কাছ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে কিনে রাখেন রবীন্দ্র চন্দ্র ও বিষ্ণু চন্দ্র সরকার। এরপর মাছগুলো মাচায় শুকানোর কাজ চলে। মাছ শুকানোর এক মাস পর মটকার ভেতর ঢুকানো হয়। তখন ওই তেল ব্যবহার করা হয়।
ব্যবসায়ী মন্টু চন্দ্র সরকার বলেন, বংশ পরম্পরায় আমরা এ কাজ করে আসছি। এক সময় নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় উন্মুক্ত থাকায় প্রচুর মাছ পাওয়া যেত, ফলে শিদল শুঁটকি তৈরিতে খরচ কম হতো। এই কারণে শুঁটকির দাম ছিল কম। এখন আর এলাকায় মাছ পাওয়া যায় না। আগে কেজিতে যে শিদল ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন এই শিদল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। যার ফলে চড়া মূল্য হওয়ায় স্বাদের শিদল এখন অনেকেরই সাধ্যের বাইরে।

তিনি আরো বলেন, ‘একসময় বর্ষা মৌসুমে এই এলাকায় প্রচুর পুঁটি মাছ পাওয়া যেত। স্থানীয় লোকজনের চাহিদা পূরণ শেষে অতিরিক্ত মাছগুলো পচে নষ্ট হতো। এই পচে যাওয়া মাছগুলোকেই রোদে শুকিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হতো শিদল।’ বর্তমানে মাছ সব কিনে আনতে হয়। বাজারে সিদলের চাহিদা থাকলেও পুঁজির অভাবে বেশি তৈরি করতে পারি না। আমাদের সিদল ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, সিলেট, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায়। এছাড়া ভারতের আগরতলা এবং সোনামুড়ায় আমাদের কিছু পাইকার আছে। তারা এসে সিদল নিয়ে যান। সরকারি ভাবে যদি আমারা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেতাম তাহলে আমরা আরো বেশি করে বিভিন্ন দেশে শুটকি ও শিদল রপ্তানি করে দেশের জন্য বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারতাম।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD