স্টাফ রিপোর্টার ।।
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলায় হোন্ডা চোর, বাক-প্রতিবন্ধী,অছাত্র,বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতাকে বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদল।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বুড়িচং উপজেলা সদরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের সাবেক সভাপতি সাইফ উদ্দিন সবুজ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দেশের স্বনামধন্য বড় একটি রাজনৈতিক দল। আজকে কিছু লোভী, তেলবাজ নেতা,চাঁদাবাজি করে টাকা খেয়ে অছাত্র,কুছাত্র, চোর বাটপার বিবাহিত ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে পদ পদবী দিচ্ছে। যা শহীদ জিয়ার আদর্শের সংগঠন জাতীয়তাবাদী দলের জন্য লজ্জাজনক।
আমি দীর্ঘদিন ধরে বুড়িচং উপজেলায় ছাত্রদলের রাজনীতি করি। বিগত দিনে আমি বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের সদস্য সচিব ছিলাম। পরে জেলার নেতৃবৃন্দ আমাকে এ কলেজের সভাপতি করে। রাজনীতি করতে গিয়ে আমি ১৩ টি মামলা খেয়েছি , একাধিক বার জেল খেটেছি আর এদিকে মজা খাবে অন্যজন সেটা হবে না। বুড়িচংয়ে অসংখ্য ত্যাগী ছাত্রদলের নেতাকর্মী আছে যাদেরকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়নি। অথচ তাদের কমিটিতে এমন লোকও আছে যাদেরকে কেউ চিনে না। তাদের এন আইডি কার্ডও নাই। বিএনপির মতো এমন একটি ভালো দলকে পাগলা জসীমের কারণে ধ্বংস হচ্ছে।
সবুজ আরো বলেন, এখন দেশে আন্দোলন চলছে তারা আন্দোলন না করে পরে আছে পদ পদবী নিয়া। আমি স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই এ কমিটি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাতিল করতে হবে। অন্যথায় এ বুড়িচংয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে। এ সুবিধা ভোগী চোর বাটপারদের কারণে দলকে ধ্বংস করতে দেবো না। দলের জন্য মামলা খাই আমরা আর এদিকে টাকা খেয়ে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে পাগলা জসীম। এ পাগলা জসীমকে বুড়িচং উপজেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
বিগত সময় পাগলা জসিমের অত্যাচারে স্বীকার হয় ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক ইউনুস সাহেব,সাবেক এমপি মজিবুর রহমান, এস এম আলাউদ্দিন,সাংবাদিক গাজিউল হাসান খান,এড.আ.হ.ম.তাইফুর রহমান, সরকার জহিরুল হক মিঠুন, হুমায়ূন সাহেব সহ অসংখ্য নেতাকর্মী । সে আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কুমিল্লা জেলা বিএনপিকে তিলে তিলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। যার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। পাগলা জসীম টাকার বিনিময়ে সকল পোস্ট পদবী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে দিয়ে থাকে ।। চামচামি তেলবাজি করে কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে পোস্ট পদবীর পেডে জোর করে সাইন করায় এটা অত্যন্ত দুঃখজনক । সে পরিচয় প্রকাশ করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নাকি তার বন্ধু । প্রিয় নেতা কে টেলিফোন কর লাউড স্পিকারে আশেপাশের নেতাকর্মীদেরকে শুনিয়ে ভয়-ভীতি দেখায় । দলের এই ক্লান্তিকালে নিবেদিত কর্মীদেরকে অবহেলা করে টাকার বিনিময়ে অছাত্র,বাক প্রতিবন্ধী, হোন্ডা চোর, ছাত্রলীগ নেতাকে বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক বানিয়ে এই মুহূর্তে দলের ভিতরে কোন্দল তৈরি করা এটাও তার একটি অপকৌশল। জেলা বিএনপির কু সদস্য সচিব যদি সমস্ত উপজেলার মধ্যে গ্রুপিং তৈরি করে তাহলে এই জেলার অবস্থা কি হবে আপনারাই বলেন। সে আওয়ামী লীগের একজন বড় লেভেলের এজেন্ট। এখনই তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হোক।
কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ছাত্র অবস্থায় ছিনতাইয়ের মামলা খেয়ে টিসি প্রাপ্ত হয়ে ঢাকাতে রেন্ট এ কারের গাড়ি চালাতেন তারপরে তার ফুফাতো ভাই মজু সাহেব এর মাধ্যমে প্রিয় নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর সাথে পরিচয় হয়।সিলেট গাড়ি নিয়ে যাবার সময় সে ছিলেন ড্রাইভার তখন নেতার সাথে তার পরিচয় হয় পরবর্তীতে সে পরিচয় দিতে থাকেন বন্ধু হিসাবে দল ক্ষমতায় আশায় তখনকার টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে অনেক অর্থ কামাই করে পরবর্তীতে তার নেশা হয়, কুমিল্লা ৫ এর সকল সিনিয়র নেতাদেরকে বাদ দিয়ে এখানকার দায়িত্বে নিবে।একে একে সকল সিনিয়র নেতাদেরকে অপমান করে দল থেকে বের করে দেয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে সক্রিয় হতে থাকে। তার কি ব্যবসা আছে এটা কেউ বলতে পারেনা,এক সময় রেন্ট এ কারের ব্যবসার সুবাদে জাপানি এক নাগরিককে গাড়ি আমদানিকারক নাটকীয়ভাবে হত্যা করে এখনো তা প্রকাশ পায় নাই। পরবর্তীতে সে বড় বড় ক্রাইমের সাথে জড়িয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে বাংলাদেশের সকল বড় বড় ক্লাবের মেম্বার হয়, এই সুবাদে যার সাথে পরিচয় হবে তার সকল কিছু জেনে তার ক্ষতি করার চেষ্টা করে ।বাগরা গ্রামে তার জন্ম, বাবার নাম লাথু মিয়া ওই এলাকার মানুষ বর্ডার এরিয়া হওয়াতে সবাই জানে সে ব্ল্যাক এর সাথে জড়িত বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণ ইন্ডিয়া পৌঁছিয়ে দেয় ইন্ডিয়া থেকে মোবাইল বাংলাদেশী নিয়ে আসে এই কারণে সে গ্রামের বাড়িতে থাকে গ্রামের বাড়ির কাজের কথা বলে দলকে ব্যবহার করে,সাধারন বিএনপি কর্মীদের প্রভাবিত করে বিএনপির ক্ষতি করা হলো তার মূল কাজ। এই রকম একটা ন্যাক্কারজনক ব্যক্তি পাগলা জসিম কিভাবে জেলা বিএনপির দায়িত্ব পায় এটা মানুষের কাছে প্রশ্ন? মানুষ ভাবতে শুরু করেছে বিএনপিতে এখন কি হচ্ছে?প্রিয় সংগঠন ছাত্রদলের এই অবৈধ কমিটি বিলুপ্ত করার জন্য
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রিয় নেতা তারেক রহমান,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক বকুল ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাংবাদিক সম্মেলন শেষে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন জসিমের কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং বিভিন্ন স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম,উপজেলা ছাত্রদল নেতা এড.মনিরুল ইসলাম, নিমষা জুনাব আলী কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আবু নাইম,সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম মিঠু,এরশাদ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জাহিদ হাসান আরিফ,সদস্য সচিব আহসান সিমুল,যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান রবিন প্রমুখ।