মোঃ রেজাউল হক শাকিল ।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর-বালিনা সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় সড়কের দুই পাশে ভেঙ্গে এবং সড়কের মাঝখানে ছোট বড় গর্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদর থেকে দুলালপুর হয়ে বালিনা, পোমকাড়া ও বেড়াখোলা যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। প্রতিদিনি শতভাগ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মালবাহী পিক্যাপ ভ্যান, শত শত সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা। এই সড়কে চলাচলকারী পথচারীরাও নেই ঝুঁকির বাইরে। মাঝেমধ্যেই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এর থেকে প্রতিকার চায় কয়েক গ্রামের বাসিন্দা।
সরজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, দুলালপুর-বালিনা সড়কের বেশির ভাগ অংশেই ছোট বড় গর্ত হয়ে আছে। এ সড়কের বিভিন্ন অংশে দু’পাশ ভেঙ্গে খালে ও পুকুরে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও একটু বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে যানবাহন ও পথচারীদের জন্য ঝুঁকিতে পরিণত হচ্ছে। যার জন্য শতভাগ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে চালক ও পথচারীদের।
দেখা গেছে, এ সড়কে কোথাও কোথাও চালকরা এবং যাত্রীরা সিএনজি ও অটোরিকশা থেকে নেমে সড়কের পাশ থেকে মাটি ও ইট টেনে এনে গর্তে ফেলে তারা তাদের যানবাহন পারাপার করছে। কোথাও আবার যাত্রীরা পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে তাদের মালবাহী পিক্যাপ ভ্যান, শত শত সিএনজি ও ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা গর্ত পার করতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু ইউসুফ নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমি প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করি। বর্তমানে এ সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে যা আমাদের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্ভোগ। এ সড়কটি দিয়ে না পারছি হেঁটে চলাচল করতে, না পারছি যানবাহনে চলাচল করতে। এ সড়কের সংস্কার খুব জরুরি।
সিএনজি চালক আমির হোসেন বলেন, দুলালপুর-বালিনা সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার হচ্ছে না। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত শতভাগ ঝুঁকি নিয়ে আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আর এ সড়কে চলাচলের কারণে প্রতিদিন আমাদের গাড়ি কোন না কোন যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। এ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দিতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিদের প্রতি আহবান জানাই।
দুলালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান রিপন ভূইয়া বলেন, উপজেলার বড়ধুশিয়া থেকে গোলাবাড়িয়া ও বালিনা খালপাড় হয়ে দুলালপুর-বালিনা এ সড়কটি সংস্কার কাজের জন্য প্রয়াত সংসদ সদস্য এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফলতিতে ওই বরাদ্দটি বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে গত তিন বছর যাবত দুলালপুর-বালিনা এই সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে বিভিন্ন মহলে একাধিক বার উপস্থাপন করা হলেও ২০১৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এর কোন প্রতিকার হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ প্রাথমিকভাবে সংস্কার করতে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং বর্ষা শেষ হলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।