1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
নিরবে কেটে গেছে মুরাদনগরে বাখরাবাদ গণহত্যা দিবস, ৫০ বছরেও নির্মাণ হয়নি স্মৃতিসৌধ - Dainik Cumilla
রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সাংবাদিক তুহিন হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন কুমিল্লায় ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী দাউদকান্দির গণমাধ্যম কর্মীদের স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক নির্বাচনের জন্যই ১৭ বছর লড়াই করেছেন তারেক রহমান: ব্যারিস্টার মামুন নাঙ্গলকোটের মাহিনী বাজার ও কুকুরীখিল গ্রামে অস্ত্রের মহড়া, ৬ বাড়ি, গাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর চৌদ্দগ্রামে দুর্ঘটনাজনিত অসুস্থ কর্মীর খোঁজখবর নেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ অপপ্রচার রুখতে মুরাদনগর এনপিপির প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতায় দক্ষতা বাড়াতে কুবি সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ বুড়িচংয়ে খাল দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান শুরু: জনগণের সহযোগিতা চাইলেন ইউএনও দেবীদ্বারে দুই ‘জুলাই যোদ্ধা’কে অটোরিকশা উপহার

নিরবে কেটে গেছে মুরাদনগরে বাখরাবাদ গণহত্যা দিবস, ৫০ বছরেও নির্মাণ হয়নি স্মৃতিসৌধ

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩
  • ১৭৩ বার পঠিত

মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর :

প্রতি বছরের নেয় এ বছরও নীরবে কেটে গেল কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বাখরাবাদ গণহত্যা দিবস। দিবসটি উদযাপনে স্থানীয় জনগণ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কিংবা স্থানীয় প্রশাসন কেউই কোন উদ্যোগ নেয়নি। শুধু স্বজনহারা মানুষ চোখের পানি ফেলে নিহতদের স্মরণ করলেন। অপর দিকে এখানে রাষ্ট্রিয় ভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করার জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রানের দাবি থাকলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও তা পূরণ হয়নি। এ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদ ১৯৯৬ ও ৯৭ সালে পর পর ২ বছর আলোচনা সভা, চিত্র প্রদর্শনী ও স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র স্টপ জেনোসাইড প্রদর্শিত হলেও উদ্যোগের অভাবে এখন আর হচ্ছে না। ফলে ভূক্তভোগী পরিবার গুলোর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৪ মে এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী রাজাকারদের সহযোগিতায় উপজেলার রামচন্দ্রপুর বাজার সংলগ্ন হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম বাখরাবাদে নৃশংস গণহত্যা চালিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক হিন্দু নারী পুরুষ পাক হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা শেষে বাড়িঘরে আগুন দিয়ে লুটপাট করে। পাক হানাদার বাহিনী হত্যাযজ্ঞের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ২১ জন ব্যক্তিকে পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার ক্যাম্পে ধরে নিয়ে পরদিন ১৮ জনকে এক সাথে গুলি চালিয়ে হত্যা করে।

এদের মধ্যে দক্ষিণ বাখরাবাদ গ্রামের শহীদ হরেন্দ্রচন্দ্র সাহার ছেলে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া হরেকৃষ্ণ সাহা জানান, ৭১’র ২৪মে সোমবার ভোর ৫টায় পাক হানাদার বাহিনী আমাদের গ্রামে প্রবেশ করে হত্যাকান্ড চালায়, হত্যাকান্ড চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। বাড়ী ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং লুটপাটসহ নারী ধর্ষণ করে।

তিনি আক্ষেপ করে জানান, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বাখরাবাদ গণহত্যার স্মৃতি স্বরূপ কোন স্মৃতি সৌধ নির্মান হয়নি। তাছাড়া আমরা ক্ষতিগ্রস্ত শহীদ পরিবারেরা সরকার থেকে এ পর্যন্ত সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। তিনি উক্ত হত্যাকান্ডের বিচার প্রার্থনা করেন। তার সাথে বেঁচে যাওয়া অপর ২জন হলো দক্ষিন বাখরাবাদ গ্রামের শহীদ গোপাল শীলের ছেলে তারক শীল (তারক মাস্টার) ও শহীদ মনোমোহন সাহার ছেলে ঢাকা ওয়াসায় চাকরিরত দুলাল চন্দ্র সাহা।

মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ গ্রামে এ নির্মম গণ-হত্যাকান্ড সম্পর্কে মুরাদনগর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: হারুনুর রশিদ জানান ২৪ মে বাখরাবাদে বহু মানুষকে গুলি করে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী। এখানে একটি শহীদ স্মৃতি সৌধ নির্মান করা দাবী করছি।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD