স্টাফ রিপোর্টার ।।
মাদকসেবনের তথ্য ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করায় আওয়ামীলীগ এনামুল হককে (৩২) কুপিয়ে শুক্রবার কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান। রোববার (২১ মে) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান,প্রযুক্তির মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি থানার লৌহগং এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত এজাহারনামীয় ২নং আসামী কাজী আমান উল্লাহ ও ৩নং আসামী আবু সাঈদকে শনিবার (২০মে) তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী কাজী
আমান উল্ল্যাহ ও আবু সাঈদ আওয়ামীলীগ নেতা এনামুল হক এর হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে অংশ
গ্রহন করে। মাদ্রাসার কমিটি, গত ইউপি নির্বাচন ও মসজিদ কমিটি নিয়ে জহির ও এনামুলের মধ্যে
দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। সর্বশেষ জহিরের ফেন্সিডিল খাওয়ার ভিডিও প্রকাশ ও এই ভিডিও নিয়ে
এনামুলের প্রচারণার কারণে সম্প্রতি এ বিরোধ চরমে উঠে। এসব বিষয় নিয়ে জহির, আমান উল্ল্যাহ ও সাঈদ’গংরা ভিকটিম এনামুলকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায শুক্রবার আসামীরা সবাই এক মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়ে। নামাজ শেষে আওয়ামীলীগ নেতা এনামুল হক মসজিদ থেকে বের হয়ে বাড়িতে
যাওয়ার পথে হাজী সিরাজুল ইসলাম এর বাড়ির পূর্ব পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর গ্রেফতারকৃতরা সুইচ গিয়ার দিয়ে ভিকটিম এনামুল হক’কে গলায় ও বুকে এলোপাথারী আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে। ঘটনার পর আসামীরা এলাকা ছেড়ে খাগড়াছড়ি পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী আমান উল্ল্যাহ এর দেয়া তথ্য মতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন দত্তসার দিঘীর ১০০ গজ উত্তরে চট্টগ্রামমুখী লেনের পাশ হতে ঘটনায় ব্যবহৃত সুইস গিয়ারটি উদ্ধার করা হয়। এজাহারনামীয় অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানা পুলিশ সুপার।