1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় - Dainik Cumilla
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ব্রাহ্মণপাড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় অবৈধ আতশবাজি আটক কুমিল্লা আলিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুল মতিনের প্রথম জানাজায় মুসল্লিদের ঢল ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার (ভিসিটি)’র ইফতার মাহফিল সম্পন্ন মনোহরগঞ্জের বিপুলাসারে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর উপর হামলা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নাঙ্গলকোটে ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতা শ্রীঘরে বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। যারা লুটপাট করছে তাদের কথা আসছে না -বরকত উল্লাহ বুলু কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ ভারতীয় বাজি জব্দ নামাজ পড়তে বের হয়ে লাশ হয়ে ফিরল কিশোর

কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ১৬৩ বার পঠিত

নেকবর হোসেন :

কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের আনন্দে উদ্বেলিত ভ্রমণ পিপাসুরা ভিড় জমিয়েছে। পরিবারের ছোট-বড় সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে নিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন কুমিল্লাবাসী। ঈদের দিন থেকে শুরু করে ৪র্থ দিনেও জেলার প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থান।

জানা গেছে, বিগত দিনের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে শুধুমাত্র ঈদের দিন (শনিবার) একদিনের সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড অর্জন করেছে কুমিল্লার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন শালবন বিহার। প্রতিদিন গড়ে ১৪/১৫ হাজারেরও বেশি দর্শণার্থী ভীড় জমাচ্ছেন ওই স্থানে।

সরেজমিনে কুমিল্লার বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কুমিল্লা শহরে অবস্থিত ধর্মসাগর পাড় নগর উদ্যান ছাড়াও কোটবাড়ি শালবন বিহার, যাদুঘর, ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি, আকর্ষনীয় ম্যাজিক প্যারাডাইসসহ বিভিন্ন বিনোদ কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। এছাড়া শালবন বিহার সংলগ্ন দর্শণীয় স্থান বৌদ্ধ বিহারেও ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতি কম নয়। এসব স্থানে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে নিয়ে আনন্দের জোয়ারে ভাসতে দেখা গেছে ভ্রমন পিপাসুদের।

শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে সব বয়সীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে জেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ঈদের ছুটি কাজে লাগাতে আনন্দে মেতেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। বিনোদনে একাকার হয়ে গেছে ধনী-গরীবের ভেদাভেদ। ঈদের এই ভ্রমনের স্মৃতি ধারণ করতে কেউবা নিজ মোবাইল ক্যামেরায় সেলফি তুলছে আবার কেউবা পরিবার পরিজন নিয়ে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি হচ্ছে। আবার অনেক সমবয়সীরা একত্রিত হয়ে গানের আড্ডায় মত্ত।

জেলার নগর উদ্যান বা ধর্মসাগরপাড় ছাড়া শহরের ভিতর তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় কোটবাড়ি এলাকাস্থ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শণার্থীদের পদচারণা ব্যাপক। এর মধ্যে প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন শালবন বিহার, জাদুঘর, কুটিলামুড়া, রূপবানমুড়া। সরকারি ওই বিনোদন কেন্দ্রের পাশাপাশি কোটবাড়ি এলাকায় বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকানা উদ্যোগে বেশ কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠায় ভ্রমন পিপাসুদের ভ্রমন তৃষ্ণা মেটাচ্ছে ওইসব বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এর মধ্যে রয়েছে সালমানপুরের ম্যাজিক প্যারাডাইস,কোটবাড়ির ডাইনোসর পার্ক, ব্লুওয়াটার পার্ক।

এছাড়া শহরের বাহিরে ময়নামতি সেনা নিবাস এলাকার রূপসাগর, ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যা ইংরেজ কবরস্থান হিসেবে পরিচিত), গোমতি নদীর পাড়ে পালপাড়া ব্রীজ এলাকা, লালমাই লেক লেন, নূরজাহান পার্ক, সদর দক্ষিণের লালবাগ এলাকার ইকোপার্কেও ছিল হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারণা। জেলার চান্দিনা উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকায় নতুন করে গড়ে উঠা ‘আপন বাড়ি’ বিনোদন কেন্দ্রে যেন তীল ধারণের ঠাঁই নেই। ঈদ আনন্দে ম্যাজিক প্যারাডাইসে দর্শনার্থীদের পদচারণা ছিল চোখে পড়ার মতো। সুমিং, রাইডিং, ইলেক্ট্রনিক ডাইনোসর সহ বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকায় এ বিনোদন কেন্দ্রটি রয়েছে আলোচনার শীর্ষে।

পর্যটক দম্পত্তি সালমা আক্তার জানান, কুমিল্লাতে আমার বিবাহ হয়েছে পাঁচ বছর আগে। এখানে এতো সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র জেনেও সময় ও সুযোগের অভাবে আসা হয়নি। স্বামী-সন্তান নিয়ে এবারের ঈদে ছুটে আসলাম। আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে।

শালবন বিহারে ভ্রমণে আসা আয়শা আক্তার খুকু জানান, আমরা কুমিল্লা শহরেই থাকি, ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। যে কারণে কোন ভাবেই এই সুযোগ মিস করিনি। প্রাণের টানে ছুটে এসেছি শাহবন বিহারে।

ঈদকে ঘিরে প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারী। তাতেও বেশি খুশি ভ্রমন পিপাসুরা।

প্রত্নতাত্তিক অধিদপ্তর কুমিল্লা জোনের আঞ্চলিক পরিচালক একেএম সাইফুর রহমান জানান, সাধারণত ঈদের দিন আমাদের প্রত্নতাত্তিক নিদর্শণগুলো বন্ধ থাকে। কিন্তু এবছর আমরা ভ্রমণ পিপাসুদের কথা চিন্তা করে শুধুমাত্র শালবন বিহারটি খোলা রেখেছিলাম। আর ওইদিন ৩ লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা শালবন বিহারের ইতিহাসে একদিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

তিনি আরও বলেন, রাজস্বের হিসাব ছাড়াও শিশু ও সুবিধা সঞ্চিতদের কোন টিকেট না থাকায় দর্শণার্থীর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এখন গড়ে প্রতিদিন ১৪/১৫ হাজারেরও বেশি দর্শণার্থী ভীড় জমাচ্ছে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD