নেকবর হোসেন:
কুমিল্লার মুরাদনগরে গণপিটুনিতে জামাল ওরফে সোহেল (৩১) নামে আরেক ডাকাত সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার বাবুটিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত সদস্য জামাল ওরফে সোহেল পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার খয়রাবাদ গ্রামের মতিন সরকারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে দেবিদ্বার ও বুড়িচং থানায় ডাকাতি ও দস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাবুটিপাড়া গ্রামের মাহাবুব মিয়ার বাড়িতে একটি ডাকাত দল হানা দেয়। এ সময় বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ডাকাত ধরা পড়েছে এমন শোর-চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ডাকাতদলকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাত দলের বাকি সদস্যরা পালিয়ে গেলেও জামাল ওরফে সোহেল জনতার হাতে ধরা পড়ে। এ সময় উত্তেজিত জনতার গণপিটুনিতে ডাকাত সদস্য জামাল ওরফে সোহেল নিহত হয়।
মুরাদনগর থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গণপিটুনিতে নিহত জামাল ওরফে সোহেল একজন পেশাদার ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে দেবিদ্বার ও বুড়িচং থানায় ডাকাতি ও দস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। লাশ উদ্ধার পূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি দিবাগত শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের পালাসুতা গ্রামে শ^শুরের ঘর থেকে শ্যালক দুলাভাইকে টেনে হিছড়ে বের করে আনে। তখন গণপিটুনি দিয়ে কাজিয়াতল গ্রামের আবদুস ছালামের ছেলে নুরু মিয়া ও পালাসুতা গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেনকে হত্যার করে। তবে ওই নিহতরা ডাকাত কিনা সেটি কোন সূত্রে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।