নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণ কাণ্ডে দায়ের করা মামলার আসামি ফজর আলী এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার দায়ে করা মামলায় ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পর্নোগ্রাফি আইনে গ্রেপ্তার বাকি চারজনের সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার হাসপাতালের মুরাদনগর থানা, কুমিল্লার আদালত ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুর রহমান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি ধর্ষণ মামলা। অপরটি যারা ভিডিও করেছেন তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি মামলা। ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি ফজর আলী। আর পর্নোগ্রাফি মামলার নামীয় আসামি পাঁচজন। আর অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জন।
কোর্ট পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে পর্নোগ্রাফি আইনে গ্রেপ্তার ওই গ্রামের— সুমন, রমজান, মো. আরিফ ও মো. অনিকের ৭দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। তবে আদালত তা পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামীকাল (আজ) ধার্য করেছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, অভিযুক্ত ফজর আলীকে অর্থোপেডিক্স বিভাগে সিট খালি না থাকায় ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে। তবে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে অর্থোপেডিক্স বিভাগ। ওই বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার হাতে ও পায়ের চারটি স্থানে ভেঙে গেছে। তবে দুটি স্থানের আঘাত কয়েকদিন মাঝেই সেরে যাবে। বাকি দুটি অস্ত্রোপচার করতে হবে। চিকিৎসকেরা সকল রোগীর ন্যায় তাকেও চিকিৎসা দিচ্ছেন। ছাড়পত্র দেয়ার সময় হলে তাকে আমরা তা দিয়ে দেব। আদালতে ওঠানোর বিষয়টি দেখবে পুলিশ।
এর আগে, গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে নারীর ঘরের দরজা খুলে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলী (৩৮) উপজেলার বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামের পূর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে।
এজাহারে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেছেন, তিনি গত ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। এরপর থেকে অভিযুক্ত ফজর আলী তাকে দেখলেই উত্ত্যক্ত করতে থাকে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ফজর আলী কৌশলে তার ঘরের দরজা খুলে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ করে। পরে চিনে ফেলায় কাউকে বললে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসে।