1. support@dainikcumilla.com : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. ghossaintamzid@gmail.com : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. admin@dainikcumilla.com : unikbd :
রক্তে রাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া, প্রকৃতি আজ তাঁর অপরূপ মায়ায় সেজেছে - Dainik Cumilla
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করা সেই ফাহিম গ্রেফতার জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত স্বর্ণালী আভায় প্রকৃতি মাতাচ্ছে চোখজুড়ানো সোনালু ফুল বন্যায় বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার সড়কগুলোর বেহাল দশা কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু রক্তে রাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া, প্রকৃতি আজ তাঁর অপরূপ মায়ায় সেজেছে কুবি ‘বি’ ইউনিটে প্রথম হলেন পাবনা জেলার মোঃ শাহীন মজলুম ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশে “ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন” অনুষ্ঠিত কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় পুলিশের একাধিক অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ১৮ সদস্য আটক

রক্তে রাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া, প্রকৃতি আজ তাঁর অপরূপ মায়ায় সেজেছে

  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩৪ বার পঠিত

ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি:

প্রকৃতি মানেই স্বস্তির জায়গা, আর তা যদি হয় ফুলে ফুলে সজ্জিত তাহলে তো কথাই নেই। ফুল প্রকৃতির অলংকার। ঋতুচক্রে প্রতি দুই মাস পর পর নানা রঙের ফুল প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তোলে।

এমনই এক ফুল কৃষ্ণচূড়া এই গ্রীষ্মের প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তুলেছে। এ সময়টায় বাইরে বের হলেই প্রকৃতিতে অহরহ চোখে পড়ছে কৃষ্ণচূড়ার মাথায় রঙের খেলা। রং লেগেছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে। সবুজ প্রকৃতির মাঝে লাল হয়ে ফুটে থাকা নয়নাভিরাম কৃষ্ণচূড়া ফুল সবুজ প্রকৃতিকে অলংকৃত করেছে। এতে প্রকৃতি মোহনীয় সাজে সেজে উঠেছে। গ্রীষ্মের তপ্ত রোদেও মন ভালো করে দিচ্ছে চোখজুড়ানো কৃষ্ণচূড়া ফুল। এ ফুলের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন ফুলপ্রেমীসহ সব বয়সী মানুষ।

সরেজমিনে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন সড়কের পাশে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে, বাড়িঘর ও জলাশয়ের পাশে মনভোলানো সৌন্দর্য দিয়ে প্রকৃতিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ফুল। গাঢ় লাল, কমলা, হালকা হলুদ রঙের ফুলে ফুলে সেজে উঠেছে কৃষ্ণচূড়ার প্রতিটি শাখাপ্রশাখা। অসম্ভব সুন্দরের বর্ণছটায় কৃষ্ণচূড়া প্রকৃতিতে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। এ ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্যে চলতি পথে পথচারীরা থমকে দাঁড়াচ্ছেন। কৃষ্ণচূড়ার এমন বাহারি রূপে বিমোহিত হয়ে কেউ কেউ মোবাইল ফোনে তুলছেন স্থির চিত্র, কেউ কেউ নিচ্ছেন ভিডিও চিত্র। উঠতি বয়সী কিশোরী ও তরুণীদের খোপা ও চুলের বেনিতে শোভা পাচ্ছে এ ফুল। শিশুরাও খেলছে এ ফুলে।

জানা গেছে, কৃষ্ণচূড়া এক ধরনের বৃক্ষ জাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এটির ইংরেজি নাম ফ্লেম ট্রি। এটি ফ্যাবেসি পরিবারের অন্তর্গত একটি গাছ। এটি গুলমোহর নামেও পরিচিত। সাধারণত বসন্তে এ ফুল ফোটে। তবে এটি বসন্তকালে ফুটলেও গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত চলে এ ফুলের প্রদর্শন। এ ফুল চার পাপড়িবিশিষ্ট। পাপড়িগুলো ৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচূড়ার পাতা সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা হয় এবং ২০ থেকে ৪০টি উপপত্র বিশিষ্ট। সাধারণত এ গাছে ফুল আসলেই গাছটি সহজেই নজরে আসে। এর ফুল মন কেড়ে নেওয়ার মতো সুন্দর হয়। এ ফুলের ঝলমলে রঙের খেলায় যেকেউ সহজে আকৃষ্ট হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আসিফ মোহাম্মদ বলেন, এই গ্রীষ্মে প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলা ফুলগুলোর মধ্যে সৌন্দর্যে অন্যতম কৃষ্ণচূড়া ফুল। এ ফুলের সৌন্দর্য প্রতি বছরই মানুষ মন খুলে উপভোগ করেন। আমাদের বাড়ির পাশে একটি বহু পুরনো কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। প্রতিদিন সকালে আশপাশের শিশুরা গাছের নিচ থেকে ঝরা ফুল কুড়িয়ে নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাহমুদা জাহান রুজিনা বলেন, দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন কেউ লাল রং ছড়িয়ে দিয়েছে। ছোটবেলায় কৃষ্ণচূড়া গাছের তলা থেকে এ ফুল কুড়িয়ে বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে রাখতাম। ছোটবেলা থেকেই এ ফুলের প্রতি আমার বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। তাই প্রতিবার কৃষ্ণচূড়া ফুটলে আমি তা মন খুলে অবলোকন করি।

প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কৃষ্ণচূড়া একটি পরিচিত গাছ। এ গাছ মনোমুগ্ধকর ফুলের জন্য বিখ্যাত। আজ থেকে তিন-চার দশক আগেও এ উপজেলায় প্রচুর কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল। নতুন করে তেমন একটা এ গাছ রোপণ হচ্ছে না বলে দিন দিন এ গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ গাছে ফুল আসলে ফুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতি রঙিন হয়ে ওঠে। এ ফুলের টুকটুকে লাল রং সহজেই আকৃষ্ট করে। তাই এ ফুলের প্রতি মানুষের আলাদা একটা টান রয়েছে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD