1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
কুবিতে পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে হট্টগোল, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা - Dainik Cumilla
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ঢাকাস্থ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উন্নয়ন সংস্থার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লা-৯ নির্বাচনি আসন পুনর্বহাল ও খসড়া বাতিল দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে নাঙ্গলকোটে বিএনপির বিজয় র‌্যালী বুড়িচংয়ে মসজিদে নামাজরত যুবককে ছুরিকাঘাত: অভিযুক্ত ২ জন গ্রেপ্তার নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন আগামী দিনের বাংলাদেশ কীভাবে চলবে তা নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরাই ঠিক করবেন: ডা. জাহিদ হোসেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে লাকসামে জামায়াতের গণমিছিল বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ চৌদ্দগ্রামে জুলাই শহীদ জামশেদ ও মাওলানা শাহাদাতের কবর জিয়ারত করলো জামায়াত নাঙ্গলকোটে বৃষ্টিতে ভিজে জামায়াতের গণমিছিলে জনতার ঢল চৌদ্দগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জামায়াতের গণমিছিল

কুবিতে পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে হট্টগোল, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৩৪ বার পঠিত

 

কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে খিচুড়ি ভোজে জেলা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা জেলা সমন্বয়কদের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হট্টগোল হয়েছে। এছাড়াও ভোজের অর্থের যোগান সাবেক ‘আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর’ থেকে নেয়া হয়েছে দাবি করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলামকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে এই ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও খিচুড়ি ভোজের আয়োজন করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে। এই আয়োজনের জন্য কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম এক কাউন্সিলর থেকে নিয়ে অর্থায়ন করে বলে জানান আয়োজক ও কুবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জান্নাতুল ইভা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিক্রিয়া জানালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে সকল ধরনের অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ দেন।

এদিকে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান সমন্বয়কদের আমন্ত্রণে ভোজে আসলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক সাকিবের নেতৃত্বে পুলিকে সুপারকে ঢুকানোর জন্য চেষ্টা করলে হট্টগোল শুরু হয়। হট্টগোলের সময় মোহাম্মদ সাকিব হুসাইনের নেতৃত্বে ১নং সংগঠক বিল্লাল হোসেন দৈনিক কালবেলার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আবু শামাকে ধাক্কা দেন। পরে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানালে পুলিশ সুপার ফিরে যান।

এর আগে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মানবন্ধন করেন আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা তারা সমন্বয়কদের আন্দোলন পরবর্তী ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বক্তব্য রাখেন।

অর্থনীতি ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান বলেন, ১১ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ করেছে। কিন্তু আমরা সেটা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। আমরা এসব প্রতিষ্ঠিত করা বাদ দিয়ে খিচুড়ি ভোজের আয়োজন করি। আমাদের যা করা দরকার তা না করে অন্য কাজ করতেছি।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ভারতীয় প্রোপাগান্ডা বিরুদ্ধে ন্যারেটিভ দাড় করাতে যেখানে সারাদেশে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে সেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথিত সমন্বয়ক’রা ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী খিচুড়ি ভোজ আয়োজন করছে। দুই হাজার জনের ফ্রি খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে সমন্বয়কের বিশাল অঙ্কের টাকা প্রয়োজন।এই টাকার উৎস কি? সমন্বয়ক তরিকুল দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার কাউন্সিল দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছে। তাদের এই ইনভেস্টমেন্ট করার মানে কি? আমরা কি ধরে নিব এই ইনভেস্টমন্টের কারণ সমন্বয়কের মাধ্যমে টেন্ডার বাণিজ্য করা।

মানববন্ধনে গণিত ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হান্নান রহিম বলেন‚ ‘দেশের এই পরিস্থিতিতে যেখানে আজকেও একজন ভাই মারা গেছেন, অনেক আহতরা বিছানায় কাতরাচ্ছেন, সেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে খিচুড়ি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে এটি অবশ্যই বর্জনীয়। খিচুড়ি ভোজ দিয়ে কী ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী কাজ করা যায়? আপনারা বরং সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কিংবা সভার মাধ্যমে এগুলো করতে পারতেন। পাঁচ আগস্টের পর থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের যে ভূমিকা রয়েছে তা অস্বীকার করার মতো নয়। এখন কেন তাঁরা সামনে আসছে না? আসলে তারা এমন কিছু বলতে চায় যেগুলো সমন্বয়কদের বিপরীতে যাবে। এ কারণে তারা আমাদের মেয়েদের দমিয়ে রাখছে। যার কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ছাত্রলীগের যে একটি লিস্ট হওয়ার কথা চার মাস পরও সেটি করতে সক্ষম হয়নি। আমাদের প্রশাসনে যে স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে তাদের লিস্ট নেই। কারো নামে মামলা হয়নি। এই খিচুড়ি ভোজের টাকা নিয়েও রয়েছে অসামঞ্জস্যতা। সমন্বয়ক তারিকুল দেড় লাখ টাকা কেন দিলো, তার উদ্দেশ্য কী? কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করার জন্যে আমরা সমন্বায়ক তারিকুলকে কুবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। সে এই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। আমাদের সমন্বয়কদের বলে দিতে চাই, শুধরে যান, আপনাদের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য করতে দিবো না।’

টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাকিব হুসাইন বলেন, ‘একটা জিনিস ট্রানজেকশন হওয়ার পরবর্তীতে স্বচ্ছতা বা অস্বচ্ছতার বিষয় আসে। ট্রানজেকশন এখনো সম্পূর্ণ ক্লিয়ার হয়নি। আমাদের কর্মকাণ্ড শেষ হওয়ার পরে যদি সঠিকভাবে হিসাব না দিতে পারি তাহলে মানববন্ধন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতো।’

সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও খিচুড়ি ভোজের আয়োজন কেন্দ্র ঘোষিত কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র ঘোষিত প্লাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যারা আছে দুই পাক্ষিক প্রেক্ষিতে।’

এছাড়াও সাংবাদিককে হেনস্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, ‘হেনস্তার শিকার সাংবাদিক লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।’

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD