স্টাফ রিপোর্টার।।
কষ্ট করে ছেলেকে এতো পড়ালেখা করাইছি। আজকা ছেলে বড় হয়ে গেছে। আমাদেরকে চিনে না। আমার বড় পোলাটা সহজ সরল। মাছ ধরার জাল টেনে আমারে ও তার সংসার পালে। ওই দিন কিনাকি কইছে আমার সামনে এই সরল পোলাটারে থাপ্পর ও লাথি মারছে। মারার পর উঠানে বেড়া দিয়ে রাখছে। একই দিন সন্ধ্যায় কোনো কারন ছাড়া আমার পোলার বউ ও নাতিটারে মারছে। পোলাবউ হাসপাতালে ভর্তি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ছোট ছেলের নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্না বিজড়িত কন্ঠে এসব কথা বলেন নব্বই বছর বয়সী বৃদ্ধা জোবেদা খাতুন।
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ও কথা কাটাকাটির জেরে কুমিল্লার দেবিদ্বারে বড় ভাই, ভাবি ও ভাতিজাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আপন ছোট ভাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। গত ২৬মে রোববার সকালে ও একদিন সন্ধ্যায় উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে এ ঘটনা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম (৪৫), রফিকুলের স্ত্রী মোসাঃ লিপি আক্তার (৩৮), দুই ছেলে রাকিব (২৪) ও শান্ত (১৯)কে অভিযুক্ত করে দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
চানপুর গ্রামের স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মৃত নসু মিয়ার দুই ছেলে সফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম। বাবার মৃত্যুর পর ছোট থেকে মায়ের সাথে পরিবারের হাল ধরেন সফিকুল। লেখাপড়া হয়নি। কিন্তু ছোটভাই রফিকুলকে পড়ালেখা করিয়েছেন। পড়া লেখা শেষে ভালো চাকরি পায় রফিকুল। চলে যায় অন্য শহরে। এরপর বিয়ে করে আর বাড়ি ফিরেনি। খোঁজ নেননি মা ও ভাইয়ের। গত কয়েক বছর পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে বাড়ি এসে নির্যাতন চালাতেন সফিকুলের পরিবারের উপর।
চানপুর গ্রামের স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মৃত নসু মিয়ার দুই ছেলে সফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম। বাবার মৃত্যুর পর ছোট থেকে মায়ের সাথে পরিবারের হাল ধরেন সফিকুল। লেখাপড়া হয়নি। কিন্তু ছোটভাই রফিকুলকে পড়ালেখা করিয়েছেন। পড়া লেখা শেষে ভালো চাকরি পায় রফিকুল। চলে যায় অন্য শহরে। এরপর বিয়ে করে আর বাড়ি ফিরেনি। খোঁজ নেননি মা ও ভাইয়ের। গত কয়েক বছর পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে বাড়ি এসে নির্যাতন চালাতেন সফিকুলের পরিবারের উপর।
ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম জানায়, ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। কিন্তু আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই ঘটনার আগে অন্তত দশবার আমাদেরকে মারধর করেছে আমার ছোট ভাই ও তার পরিবার। গত ২৬ মে রোববার সকালে ছোট ভাইয়ের বউ অন্যায় করছে, আমি মায়ের কাছে বিচার দিছি। এ কারনে আমার ছোট ভাই মায়ের সামনে আমাকে দুইটা থাপ্পড় দিছে, একটা লাথি মারছে ও গলায় চিপ দিয়ে ধরে বলছে পরেরবার যদি তার সাথে লাগতে যাই বেশি ভালো হবে না।একই দিন সন্ধ্যায় আমার স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়েছে আমার ভাই ও ভাতিজারা। আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে দুই ভাতিজা মিলে আমার ছেলেকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছে। আমার স্ত্রীর অবস্থা ততটা ভালো না। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভুক্তভোগী সফিকুল ইসলাম জানায়, ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। কিন্তু আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই ঘটনার আগে অন্তত দশবার আমাদেরকে মারধর করেছে আমার ছোট ভাই ও তার পরিবার। গত ২৬ মে রোববার সকালে ছোট ভাইয়ের বউ অন্যায় করছে, আমি মায়ের কাছে বিচার দিছি। এ কারনে আমার ছোট ভাই মায়ের সামনে আমাকে দুইটা থাপ্পড় দিছে, একটা লাথি মারছে ও গলায় চিপ দিয়ে ধরে বলছে পরেরবার যদি তার সাথে লাগতে যাই বেশি ভালো হবে না।একই দিন সন্ধ্যায় আমার স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়েছে আমার ভাই ও ভাতিজারা। আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে গেলে দুই ভাতিজা মিলে আমার ছেলেকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছে। আমার স্ত্রীর অবস্থা ততটা ভালো না। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রফিকুল সফিকুলদের প্রতিবেশীরা জানায়, রফিকুল বাগেরহাট সার্ভেয়ার অফিসে চাকরি করেন। অঢেল অর্থ, সম্পত্তি আছে তার। কিন্তু মাকে একটি টাকাও দেন না তিনি। সে বউয়ের কথায় উঠে বসে। গ্রামের বাড়ি আসলে কিছু একটা হলেই বড় ভাই ও তার পরিবারের উপর অমানবিকতা নির্যাতন করে। শেষবার যখন মারধর করেছিল, আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। বাড়ির মহিলারা ফোন করায় এসে দেখি সফিকুলের স্ত্রী মলাকা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রফিকুল সফিকুলদের প্রতিবেশীরা জানায়, রফিকুল বাগেরহাট সার্ভেয়ার অফিসে চাকরি করেন। অঢেল অর্থ, সম্পত্তি আছে তার। কিন্তু মাকে একটি টাকাও দেন না তিনি। সে বউয়ের কথায় উঠে বসে। গ্রামের বাড়ি আসার পর, কিছু একটা হলেই বড় ভাই ও তার পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতন করে। শেষবার যখন মারধর করেছিল, আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। বাড়ির মহিলারা ফোন করায় এসে দেখি সফিকুলের স্ত্রী মলাকা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে আছে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহিনুল ইসলাম জানায়, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।