কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে সাবেক ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে উভয়ের পদত্যাগ ও অপসারণের এক দফা দাবিতে নবম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬মে) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
কর্মসূচির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা এখনও এক দফা দাবিতেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। পরবর্তীতে নতুন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে সেটা সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক হবে।
তিনি আরও বলেন, গত ২৮ তারিখের ঘটনায় শিক্ষকদের ওপর হামলা এবং শিক্ষকদের দাবির আলোকে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কাজ তদন্ত কমিটি করবে। এক দফা দাবিতে আমরা এখনো অনড় আছি। একজন উপাচার্য কখনো শিক্ষকের গায়ে হাত দিতে পারেন না। কিন্ত তিনি সেটা করেছেন তাই আমরা মনে করি উপাচার্য তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। যে উপাচার্যের কাছে শিক্ষক নিরাপদ না আমরা সে উপাচার্যকে চাই না।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর ভিসির কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কিছু দাবি দাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গেলে দুইজন কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক সদস্যরা শিক্ষকদের ওপর হামলা করেন। এরই জেরে তিন দফা ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি সাত দফা দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষক সমিতি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভিসি, ট্রেজারার ও প্রক্টরের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষকরা। সবশেষ, গত (২৮ এপ্রিল) শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে ভিসি, ট্রেজারার ও প্রক্টরসহ ভিসিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতারা শিক্ষকদের কিল, ঘুষি ও ধাক্কা দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের অবস্থান দখলে নেন। এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শুরু করলে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।