মোঃ রেজাউল হক শাকিল।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় আবাসিক এলাকায় অনুপযোগী স্থানে ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সদ্য স্থাপিত প্রাইভেট বিদ্যালয় বন্ধে গণস্বাক্ষর দিয়েছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর ) বিকেলে উপজেলার মালাপাড়া এলাকার অলুয়ায় সামাজিক এক সভায় এ গণস্বাক্ষর দেওয়া হয় ।
সভায় বক্তাদের আলোচনা থেকে জানা যায়, বসতবাড়ির পাশে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ‘অলুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন স্থানীয় কিছু ব্যক্তি। এতে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের উপযুক্ত জায়গা ও উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় সদ্য স্থাপিত ওই প্রাইভেট বিদ্যালয়টি বন্ধ করার জোর দাবি করেন এলাকাবাসী ।
গ্রামবাসীরা জানান, সরকারি অনুমোদন পেতে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করতে ৭৫ শতক জায়গায় দরকার পড়ে। অথচ ওই বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে ৯ শতক জায়গায়। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ওই বিদ্যালয়ে নেই প্রয়োজন অনুযায়ী শৌচাগার ও খেলার মাঠ। বিদ্যালয়ের সাথেই বসতবাড়ি। এতে বসতবাড়িতে বসবাসরত বাসিন্দারা নানা দুর্ভোগ ভোগ করেছেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে মনোহরপুর গ্রামবাসী একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেন। সে সময় পার্শ্ববর্তী অলুয়া ও চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দারাও মনোহরপুর গ্রামবাসীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গনির সভাপতিত্বে তিন গ্রামের বাসিন্দারা একটি সভা করেন। সেই সভায় গৃহীত হয় তিন গ্রামের বাসিন্দারা মিলে ‘মনোহরপুর-অলুয়া-চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করার। তিন গ্রামের বাসিন্দাদের সহযোগিতায় সেই সময় বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। সবকিছু ঠিক-ঠাকই চলছিল। পরে সম্প্রতি পূর্বে স্থাপিত ‘মনোহরপুর-অলুয়া-চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়’টির অদূরে বসতবাড়ি ঘেষে স্বল্প পরিসরে আরও একটি ‘অলুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে বিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ নেন স্থানীয় কিছু লোক। পূর্বে স্থাপিত বিদ্যালয়ের এতো কাছাকাছি আরও একটি বিদ্যালয় জনবসতির নিকটে স্থাপনের বিপক্ষে অবস্থান নেয় এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে একটি সভার মাধ্যমে বিদ্যালয় স্থাপন বন্ধে গণস্বাক্ষর দেন।
নুরুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট জাকির হোসেন, ডা. মোস্তাক ভূইয়া সঞ্চালিত ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মতিন খন্দকার, মোঃ আঃ মালেক জমদ্দার মোঃ জাকির হোসেন. মোংদেলোয়ার হোসেন, মোঃ আবদুল বারেক মেম্বার, মোহাম্মদ আলী, মো. সরাফত আলী, জাহাঙ্গীর খন্দকার, আবুল কাশেম, মো. ফরিদ উদ্দিন ভূঞা, মো. ইয়াছিন, কবির মাষ্টার, মোসলেম, মোঃ মাসুদ, আলী আশরাফ (দফাদার),রাখাল চন্দ্র দশ, মো. শহিদ মিয়া, নাজমুল বারী, সাজ্জাদ হোসেন, আবদুল মাওালন্দ, আবদুল মালেক, দেলোয়ার, বারেক, আলাম, মোক্ষঙ্গ আলী, জাহাঙ্গীর সরকার, আবুল কাসেম, মোঃ ফরিদ মিয়া, মোঃ সরাফত আলী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ শহিদ মিয়ার, সাজ্জাদ হোসেন, মনতাজ উদ্দিন মেম্বার, মোঃ ওয়ালিউল্লাহ, মো! মিশনুর রহমান ভূইয়া, বিল্লাল হোসেন, মোঃ মাহফুজুর রহমান, মোঃ মাসুম, মোঃ সৌরভ মুশফিকুর রহমান, আহাম্মদ হোসেন, মোঃ আনিছ মিয়া, ডালিম হোসেন, সিয়াম হোসেন, মোঃ পারভেজ, সফিউদ্দিন, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ সুলতান, মোঃ অদুদ মিয়া, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ ফখরুল ইসলাম, মোঃ মোরুজ মিয়া, মোঃ মোস্তফা, মোঃ কনক হাসান, আবুল করিম, মোঃ মনজুরুর রহমান, মোঃ ইয়াকুব আলী, নূরুল ইসলাম, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মো: রওশন, মুস্তফা, মোহাম্মদ নাঈমুল বারী, মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ সুমন, মোঃ রবিউল, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ আশিক, মোঃ সফিকুল ইসলাম, রাজেন্দ দাস, আব্দুল মতিন, আবুল হাসেম, মোঃ বেল্লাল উদ্দিন, মোঃ ইউনুছ, মনিরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল আলিম, আব্দুল সামাদ, মোঃ আলী আশাদ, আলী হোসেন, মোঃ আলী আশগরসহ এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।