নেকবর হোসেন
কুমিল্লার মুরাদনগরে অপহরণের পর মেহেদি হাসান নামে এক অটোরিকশাচালককে খুন করা হয়েছে। অপহরণের ৩৬ দিন পর ওই অটোরিকশাচালকের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুরাদনগর থানা ও বাঙ্গরা বাজার থানার সহযোগিতায় নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ এলাকার একটি ঝোপ থেকে সিআইডি পুলিশের বিশেষ টিম মেহেদী হাসানের মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত মেহেদী হাসান মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দীঘিরপাড় গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে। পেশায় তিনি অটোরিকশা চালক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায় জানায়, গত ১১ আগস্ট রাতে বাঙ্গরা বাজার থেকে অটোরিকশা নিয়ে কোম্পানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে মেহেদী নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন তার পরিবার বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
পরবর্তীতে ২০ আগস্ট বাঙ্গার বাজার থানা একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের পর দিঘিরপাড় গ্রামের আইনুল হককে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে আইনুল হকের স্বীকারোক্তি মতে তার ভাই ফুল মিয়ার কাছে থাকা কুমিল্লার একটি গ্যারেজ থেকে মেহেদী হাসানের অটো রিকশাটি উদ্ধার করা হয়।তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার আইনুল হকের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২১)’কে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে খাইরুলের দেখানো স্থান থেকে নিহত মেহেদী হাসানের (১৮) মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল স্বীকার করেছে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যই মেহেদীকে হত্যা করা হয়। পরে তার দেখানো স্থানেই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা কাপড়ের মাধ্যমে নিহতকে শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় মূল আসামি খাইরুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ হাসান জানান, গ্রেফতারকৃত খাইরুল’কে কুমিল্লা আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য মেহেদীর কঙ্কাল হাতে পেয়ে ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা। তাঁরা দ্রুত বিচার ও হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।