1. [email protected] : Dainik Cumilla : Dainik Cumilla
  2. [email protected] : Habibur Monna : Habibur Monna
  3. [email protected] : unikbd :
মুরাদনগর উপজেলায় মই দিয়ে সীমানা প্রাচীর পেরিয়ে মাদ্রাসায় যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা - Dainik Cumilla
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লা সীমান্তে ভারতীয় মোবাইল ও ডিসপ্লে জব্দ বুড়িচংয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে বেঁধে নির্যাতন, মূল হোতা আটক ব্রাহ্মণপাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ২ ব্যাক্তিকে কারাদণ্ড ব্রাহ্মণপাড়া ইউএনওর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন চৌদ্দগ্রামে অবৈধভাবে জগন্নাথদীঘির পানি আটকে রাখার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন কুমিল্লায় নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবীতে নাঙ্গলকোটে মানববন্ধন দাউদকান্দিতে ইসলামি ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের মানববন্ধন

মুরাদনগর উপজেলায় মই দিয়ে সীমানা প্রাচীর পেরিয়ে মাদ্রাসায় যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩
  • ২৩৩ বার পঠিত

মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর ।।

বাংলাদেশের গ্রাম সমাজের মানুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐতিহ্যগতভাবেই সবাই মিলে মিশে থাকে। বিপদে-আপদে পরস্পরে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় দেখা গেছে- এর উল্টো। উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের উত্তর বাখরাবাদ গ্রামের মাইনুদ্দিন নামের এক ব্যাক্তি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইন্দ্রনে ইটের প্রাচীর নির্মাণ করায় প্রতিবেশী একটি মাদ্রাসা ও দুইটি পরিবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মাদ্রাসার শতাধীক শিক্ষার্থী ও দুইটি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মই দিয়ে ৭ ফুট উচু সীমানা প্রাচীর অবরুদ্ধ শিক্ষার্থী ও পরিবারের লোক জন পারাপার করছে। ফলে শিক্ষার্থী ও এসব পরিবারের কোমলমতি শিশু-কিশোরদের জন্য এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও নিরুপায় হয়ে বাড়ির বয়স্ক নারী-পুরুষদের সাথে তারাও অবরুদ্ধ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও ঘর হতে বের হতে পারছে না। গবাদী পশুগুলো নিয়ে পড়েছে বিপাকে।
প্রায় ১ মাস পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছে, প্রত্যেকেরই যার যার বাড়ি নিরাপত্তায় বেষ্টনীর প্রয়োজন আছে, তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসবাসকারীদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে এটা কারো কাম্য নয়।
ভুক্তভোগী রাবেয়া বসরী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বি চাপিতলা গ্রামের মরহুম হাজী আব্দুর রহমান ২০১৮ সালে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তাটি মৌখিক ভাবে দিয়ে যান। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ছেলে মাইনুদ্দিন মাদ্রাসা ও প্রতিবেশিদের যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান ইকবাল সরকারের কাছে বেশ কয়েকবার গেলেও তিনি ২ বছর ধরে আমাকে ঘুড়াচ্ছেন। ২ বছর পূর্বে তার বাড়িসহ জমি কেনার প্রস্তাব দেন এরা, ক্রয় করতে রাজি না হওয়ায় সীমানা প্রচীর নির্মাণ করে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক কবির আহমেদ ভূইঁয়া আক্ষেপ করে বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন যাবত এখানে বসবাস করছি এবং বসবাসের শুরু থেকেই ওই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে আসছি। হঠাৎ করে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়া আমরা মানবত জীবন যাপন করছি।
সীমানা প্রাচীর নির্মান কারি মাইনুদ্দিন বলেন, প্রাচীর নির্মান করে আমি কোন অপরাধ করিনি। আমার জমিতে আমি প্রাচীর নির্মান করেছি। আর এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাইনা।
রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল সরকার বলেন, বেশ কয়েকবার আমি চেষ্ঠা করেছি স্থানয়ি ভাবে মিমাংসা করা জন্য কিন্তু জমির মালিক মাইনুদ্দিন তার জমির উপর দিয়ে সড়ক দিতে রাজি হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী জানান, অবরুদ্ধ বিষয়টি আমি শুনেছি এবং তাৎক্ষনিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলেছি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করে দেওয়া জন্য। এর পরও ভুক্তভোগীরা আদালতের সহযোগিতা নিতে পারেন।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ | দৈনিক কুমিল্লা    
Developed By UNIK BD